Awareness at Chingrighata: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েই তৎপরতা তুঙ্গে, জানুয়ারিতে চিংড়িঘাটায় খুলছে ফুটব্রিজ
Chingrighata: রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বা আরভিএনএল এই সাবওয়ে তৈরির যৌথ দায়িত্বে থাকবে বলে জানান কেএমডিএ'র সিইও অন্তরা আচার্য।
সুজিত বসু বলেন, “আমরা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ বা ডিসেম্বরেই ফুটব্রিজ চালু করে দেব। সাবওয়ের সার্ভে চলছে। সাবওয়েও হবে এখানে। আইআইটি খড়গপুরকে দিয়ে কেএমডিএ একটা ইনস্পেকশন করাচ্ছে। সেটাও খুব তাড়াতাড়ি রিপোর্ট পাওয়া যাবে।”
রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বা আরভিএনএল এই সাবওয়ে তৈরির যৌথ দায়িত্বে থাকবে বলে জানান কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য। অন্তরা আচার্য বলেন, “যেহেতু মেট্রো রেলের এখান থেকে লাইন যাবে তাই আরভিএনএলের যৌথ সহযোগিতায় এখানে একটা আন্ডারপাস করা হবে। এর জন্য পরিকল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে কাজ এগোতে পারে তাও খতিয়ে দেখা হয়ে গিয়েছে।”
গত ১৭ নভেম্বর মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে প্রশ্ন করেন, “চিংড়িঘাটায় কেন রোজ অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে? কলকাতা পুলিশ বলে ওটা আমার নয়। বিধাননগর বলে ওইটুকু আমার, ওইটুকু কলকাতা পুলিশের। তোমাদের নিজেদের ইগোর লড়াইয়ের জন্য সাধারণ মানুষ কেন সাফার করবে?” তিনি সাফ জানান, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
গত কয়েকমাসে লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে ওই এলাকায়। কারণ সেই বেপরোয়া গতি। কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা রাস্তায় একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও কেউ গতির খেলায় মাততে পারে না। এর ফলেই নিয়মিত এই রাস্তা ধরার পরই অধিকাংশ গাড়ি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সেই গতিরই মাশুল গুনতে হয় চালকদের।
এদিনই মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা ছিল, “পরপর কতগুলো অ্যাক্সিডেন্ট দেখলাম, যেটা হওয়ার নয়, হওয়ার ছিল না। ওখানে যার জন্য একটা ছোট ফুট ওভারব্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিধাননগর আর কলকাতা পুলিশ বসে সমস্যা মেটাবে। মানুষের জীবন অনেক দামী।”
এরপরই টনক নড়ে পুলিশের। সিদ্ধান্ত হয়, স্পিড রাডার গানের সংখ্যা বাড়ানো হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চললেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেস চলে যাবে মালিকের কাছে। নজরে থাকবে বাইকের গতি। রাতে প্রয়োজন মতো গার্ডরেল দেওয়া হবে। দ্রুত চালু হবে ফুট ওভারব্রিজ। রাতে চিংড়িঘাটায় থাকবেন সার্জেন্ট, চলবে ধড়পাকড়।
ব্যারিকেডের সঙ্গে থাকবে রেড ব্লিংকার। গাড়ির আলো পড়লেই ব্লিংকার জ্বলবে, চিহ্নিত করা যাবে ব্যারিকেড। রাতে রাস্তার পরিধি চিহ্নিত করতে বসবে রেইজড পেভমেন্ট মার্কার বা RPM। বাইপাসে নজরদারি চলবে মেট্রোপলিটন থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: বিএসএফ সংক্রান্ত প্রস্তাব কোন পথে পাশ বিধানসভায়, জানতে চান রাজ্যপাল