Jagdeep Dhankhar: বিএসএফ সংক্রান্ত প্রস্তাব কোন পথে পাশ বিধানসভায়, জানতে চান রাজ্যপাল
BSF: গত ১৬ নভেম্বর বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়ে যায়।
গত ১৬ নভেম্বর বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে তা পাশও হয়ে যায়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়ে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার। এই ইস্যুতেই সরব হন তৃণমূল বিধায়করা।
এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সীমান্তবর্তী নয়, এমন এলাকাতেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “সীমান্ত রক্ষা সুনিশ্চিত করা বিএসএফের কাজ। কিন্ত তারা ক্রমশ নন-বর্ডার এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে। এলাকা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা খর্ব করা হচ্ছে।” এটা কার্যকর করা হলে মোট ১১টি জেলা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানান তিনি। পার্থ বলেন, “উত্তরবঙ্গের সিংহভাগ, বাংলার ৩৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। অর্থাৎ পিছন দরজা দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনের যে ইঙ্গিত বিজ্ঞপ্তিতে আছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি।”
এই প্রস্তাব পাশ সংক্রান্ত এবার যাবতীয় তথ্য দেখতে এবং জানতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অর্থাৎ কত ভোটাভুটিতে এই প্রস্তাব পাশ হল, প্রস্তাবে কী বলা হয়েছিল, কারা বক্তা ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য কী ছিল গোটা বিষয়টাই তিনি জানতে চান বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। সিবিআই ও ইডির দুই আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিং ও রথীন বিশ্বাসকে তলব করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারবার তাঁরা সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। যা স্পিকারের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সরকারি দলের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। আর সেই কারণেই ডিএসপি সিবিআই সত্যেন্দ্র সিং ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রথীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
WB Governor Shri Jagdeep Dhankhar has sought West Bengal Legislative Assembly Proceedings as regards passing @MamataOfficial Resolution as regards extension of jurisdiction area @BSF_India and Breach of Privilege Motion against CBI and ED officials @dir_ed pic.twitter.com/jksI62x18I
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 19, 2021
এ সংক্রান্তও বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। কী ঘটেছিল, কী কারণে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ উঠল সে সংক্রান্ত বিষয়ও জানতে চান জগদীপ ধনখড়। অর্থাৎ এই দুই ঘটনাকে সামনে রেখে আরও একবার বিধানসভা ও রাজভবনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে জোর তরজা শুরু হয়েছিল রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে। পরবর্তী চার উপনির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ পড়ানো নিয়েও একটা জটিলতার পরিস্থিতি হয়। আরও একবার সেই পরিস্থিতিই তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: বিষপানকারী সেই পাঁচ শিক্ষিকা এবার তৃণমূলে, ঘাসফুলে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলামও