BGBS: বিজিবিএস থেকে কত বিনিয়োগ, শ্বেতপত্র প্রকাশ করছে রাজ্য

BGBS: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৬টি বিজিবিএস থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "যারা শিল্প সম্মেলন নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, কিছুই হয় না বলছেন। হয় না? ৬টা বিজিবিএস-এ আমরা প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকার মতো ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছি। তার মধ্যে ১০ লক্ষ কোটি টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। বাদবাকিটা প্রসেসে চলছে।"

BGBS: বিজিবিএস থেকে কত বিনিয়োগ, শ্বেতপত্র প্রকাশ করছে রাজ্য
বিজিবিএস-এর বিশেষ মুহূর্ত। Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2023 | 9:43 PM

কলকাতা: দু’দিনের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন বা বিজিবিএস (Bengal Global Business Summit) হয়ে গেল কলকাতায়। মূলত বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যেই গত কয়েক বছর ধরে বাণিজ্য সম্মেলন বসছে রাজ্যে। ভারতের তো বটেই, বিদেশ থেকেও আসছে লগ্নি। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই বাণিজ্য সম্মেলন ‘অশ্বডিম্ব’। তবে বৃহস্পতিবারই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবার ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি এসেছে বিজিবিএস থেকে।” এ সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে বলেও মমতা নেতাজি ইন্ডোর থেকে জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এরপরই নবান্নের বৈঠকে মুখ্যসচিবকে ৭ দিনের মধ্যে এই শ্বেতপত্র তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৬টি বিজিবিএস থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “যারা শিল্প সম্মেলন নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, কিছুই হয় না বলছেন। হয় না? ৬টা বিজিবিএস-এ আমরা প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকার মতো ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছি। তার মধ্যে ১০ লক্ষ কোটি টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। বাদবাকিটা প্রসেসে চলছে।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বুধবারই সপ্তম বিজিবিএস শেষ হয়েছে। অভাবনীয় সাফল্য এসেছে তাতে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। আমাদের জিএসডিপি চারগুণ বেড়েছে। রাজস্ব চারগুন বেড়েছে। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ার পরও। মোট বাজেট বরাদ্দ ৩.৮ শতাংশ বেড়েছে। এই ইনভেস্টমেন্টগুলো থেকে ইতিমধ্যে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসাবে এমএসএমইতে আলাদা করে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে রঘুনাথপুরের শিল্পনগরীতে। পাঁচটি ইকোনমিক করিডর তৈরি হচ্ছে। মমতার কথায়, “কর্মসংস্থানের ছড়াছড়ি হয়ে যাবে।”