Mamata-Governor: ঘুচল বিরোধ! এবার মমতার পছন্দেই সায় বোসের
Mamata-Governor: উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে বারবার নবান্ন তথা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় রাজভবন। বিষয়টি গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়া পর শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া।
কলকাতা: অবশেষে রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের উন্নতি! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দেই সায় দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এক বছর ধরে যে সংঘাত চলছিল, তা এবার শেষ হল বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। স্থায়ী উপাচার্য পেল রাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছিল সেই সংঘাত। এবার রাজ্যের পাঠানো নামেই সই করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়ান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপরেই খবর যায় মমতার পাঠানো নামের তালিকায় সই করেছেন রাজ্যপাল।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি পুরো পদ্ধতির তদারকি করেছে। প্রায় গোটা শিক্ষাবর্ষে উপাচার্যহীন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। পরে ধীরে ধীরে স্থায়ী উপাচার্য পাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও পর্যন্ত ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্যের আসন ফাঁকা।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছে নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তীকে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন শঙ্করকুমার নাথ। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন রূপকুমার বর্মণ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কল্লোল পাল, সিধু-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্রকুমার চক্রবর্তী ও রানি রাসমণি গ্রিন বিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছে অমিয়কুমার পণ্ডাকে।
উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে বারবার নবান্ন তথা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় রাজভবন। বিষয়টি গড়ায় শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়া পর শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন গ্রহণ করা হয়। সেই আবেদনের তালিকা থেকে উপাচার্য পদপ্রার্থীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সেই তালিকা থেকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিন জনের নাম বেছে নিয়ে রাজভবনকে পাঠায় নবান্ন। আর এবার মমতার পছন্দের নামেই শিলমোহর দিলেন রাজ্যপাল।