Rajganj: এক সপ্তাহ আগে যোগ দিয়েছিলেন কাজে, সেই ছেলেটারই নিথর দেহ ঢুকল গ্রামে
Jalpaiguri: মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম শুভঙ্কর রায় (২৪)। তিনি জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের কুকুরযান অঞ্চলের পাকড়িতলা গ্রামের বাসিন্দা। বছর চব্বিশের শুভঙ্কর ড্রিল মেশিন চালিয়ে পাহাড় কাটার কাজ করতেন। গত রবিবার তিনি এনজেপি থেকে ট্রেনে মণিপুরে যান।
রাজগঞ্জ: দু’টো পয়সা রোজগারের জন্য বেরিয়েছিলেন কাজে। তবে এভাবে প্রাণটাই চলে যাবে কেউ কল্পনা করতে পারেননি। ভীন রাজ্যে কাজে যোগ দেওয়ার এক সপ্তাহের মাথাতেই মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই শোকের ছায়া এলাকায়য। মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম শুভঙ্কর রায় (২৪)। তিনি জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জের কুকুরযান অঞ্চলের পাকড়িতলা গ্রামের বাসিন্দা।
বছর চব্বিশের শুভঙ্কর ড্রিল মেশিন চালিয়ে পাহাড় কাটার কাজ করতেন। গত রবিবার তিনি এনজেপি থেকে ট্রেনে মণিপুরে যান। মঙ্গলবার কাজে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার থেকে পাহাড় কাটার কাজ শুরু করেন।জানা যাচ্ছে, এরপর আচমকাই একটি বড় পাথর তাঁর গায়ে এসে পড়ে। সঙ্গে-সঙ্গে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
শনিবার শুভঙ্করের কফিনবন্দী দেহ গ্রামে আসলে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। মৃতের পরিবারে বাবা-মা ছাড়াও বড় দাদা এবং এক বোন রয়েছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার ও পরিজনরা।মানতে পারেননি গ্রামের মানুষজনও। তাঁদের একটাই বক্তব্য, এইসব কাজ করার সময় উপযুক্ত সুরক্ষা নিতে হয়। একইসাথে তাঁদের আরও বক্তব্য, এই জাতীয় কাজের সময় অনেক শ্রমিক একসাথে থাকে। তাহলে শুভঙ্করের সঙ্গে আরও অন্য কেউ নিশ্চয়ই ছিল। তাহলে তাদের অবস্থা কী? বড় আকৃতির পাথর পড়লে অনেকের আহত হওয়ার কথা। প্রশ্ন তুলেছেন শুভঙ্করের বাবা। স্থানীয় পঞ্চায়েত অমল রায় জানান, “গ্রামের একটি ছেলে এভাবে চলে গেল ভীষণ দুঃখজনক ঘটনা। সংস্থার পক্ষ থেকে পরিবারটিকে যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সেই দাবি জানাব।”