Paschim Medinipur: অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত জেলার চাষিদের, অশনি সঙ্কেত দেখছেন মধ্যবিত্তরাও
Paschim Medinipur: হঠাৎ বৃষ্টির জন্য মাঠে কেটে রাখা ধানেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। ফসল বাঁচাতে মাঠেই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়েছে কেটে রাখা ধান। এই ক্ষতি সামলে কিভাবে বেরবে তারা, সে নিয়ে দিশেহারা চাষিরা। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, জেলায় প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর আলু চাষ হয়।
মেদিনীপুর: অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত জেলার চাষিদের। এমনিতেই চাষ করতে গিয়ে সমস্যায় জর্জরিত গ্রামাঞ্চলের চাষিরা। সে সবকে উপেক্ষা করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে আলু চাষ সবে শুরু করেছে আলু চাষিরা। কিন্তু তারই মাঝে শুক্রবার রাত থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে আলু চাষিরা। শুধু যে আলু চাষে ক্ষতি তা নয় সঙ্গে রয়েছে ধানচাষ।
হঠাৎ বৃষ্টির জন্য মাঠে কেটে রাখা ধানেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। ফসল বাঁচাতে মাঠেই ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়েছে কেটে রাখা ধান। এই ক্ষতি সামলে কিভাবে বেরবে তারা, সে নিয়ে দিশেহারা চাষিরা। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, জেলায় প্রায় কয়েক হাজার হেক্টর আলু চাষ হয়। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা তে মার খাচ্ছেন চাষিরাই। চাষিদের দাবি, এবার আলু চাষে প্রায় ৭৫ ভাগ আলু ক্ষতিগ্রস্ত হবে । কীভাবে চাষিরা ঘুরে দাঁড়াবে দিশেহারা জেলার চাষিরা। সুন্দরবনেও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সমস্যায় ধানচাষিরা। এই ধান বাজারে বিক্রি করে কোনও দাম পাওয়া যাবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। চাষের খরচও উঠবে না। ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। শীতকালীন ফসল লাগানোর সময় হয়ে এলেও কীভাবে তা শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না চাষিরা। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরা।
বেশিরভাগ জায়গাতেই ধান তোলার সময় হয়ে গিয়েছে। সেই সময় আচমকা এই বৃষ্টি হওয়ায় সুন্দরবনের কুলতলির ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষ। এই অসময়ের এই বৃষ্টিতে ধানে খোলা হয়ে যায়। এর ফলে এই ধান থেকে আর চাল পাওয়া যায় না। ধানের জমিতে জল জমে গিয়েছে।ফলে সবদিক দিয়েই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ধান চাষিরা। ফলে এই মরসুমে যে আবারও মধ্য়বিত্তের কপালে ভাঁজ পড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।