Haridevpur Murder: ‘মেয়েকে খারাপ কাজটা শিখিয়েছিল বাবাই’, এবার স্বামীর বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক হরিদেবপুরের সেই মহিলা

Haridevpur Murder: তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে আসে, তা আরও শিউরে ওঠার মতো। জানা যায়, আসলে মায়ের 'উৎশৃঙ্খল' জীবনযাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েই মাকে ফাঁসানোর ছক কষেছিল।

Haridevpur Murder: 'মেয়েকে খারাপ কাজটা শিখিয়েছিল বাবাই', এবার স্বামীর বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক হরিদেবপুরের সেই মহিলা
হরিদেবপুরে ধৃত মহিলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 03, 2023 | 1:16 PM

হরিদেবপুর: প্রথমের অভিযোগ ছিল শিউরে ওঠার মতো। মা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে নাবালিকা মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেছেন। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে যে তথ্য উঠে আসে, তা আরও শিউরে ওঠার মতো। জানা যায়, আসলে মায়ের ‘উৎশৃঙ্খল’ জীবনযাত্রায় অতিষ্ঠ হয়ে মেয়েই মাকে ফাঁসানোর ছক কষেছিল। নাবালিকার এই কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো স্তম্ভিত হয়েছেন পুলিশ কর্তারাও। ওই নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। তাঁকে বুধবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি যা দাবি করেছেন, তাতেও রয়েছে বড় টুইস্ট। ধৃত মহিলা জানান, তিনি স্বামীর সঙ্গে বিগত ৬ বছর ধরে আলাদা রয়েছেন। তাঁর স্বামী কুদঘাটে নিজের মা বাবার সঙ্গে থাকেন। মেয়ে মাঝে মাঝে তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, “আমার স্বামীই মেয়েকে দিয়ে এই চক্রান্ত করিয়েছে। নিজের মেয়ে এরকম করেছে। খারাপ লাগে।”

কথায় বলতে বলতে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ওই মহিলা। তিনি বলেন, “বেশি কথা বলার মতো মানসিক অবস্থা আমার নেই। মেয়ে আগেও এই জিনিস করেছে। ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বুঝিয়েছিলাম। লাভ হয়নি। আমি উকিলের সঙ্গে কথা বলেছি। আর জামিনের আবেদন করব।” অন্য একাধিক পুরুষের সম্পর্কের যে কথা বলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন। ওই নাবালিকাকেও জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হবে। তারপর তাকে হোমে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবার হরিদেবপুরের একটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এক নাবালিকা তার মায়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে। তার অভিযোগ ছিল, মা ও তাঁর প্রেমিক মিলে তাকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের পরিকল্পনা করেছে। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়ে। প্রথম অবস্থায় পুলিশ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার মা এবং তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করে।

পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ফোনের কন্ট্রোল তাঁর মেয়ে নিজের ফোনে নিয়েছিল। মায়ের সিম ক্লোন করে নিয়েছিল। বেশ কিছু এসএমএস নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। যেখান থেকে খুনের পরিকল্পনার কথা উঠে আসে। তা দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সেই এসএমএস গুলোর প্রত্যেকটাই ফেক। ওই নাবালিকা নিজেই খুনের পরিকল্পনার গল্প বানাতে এসএমএস গুলো বানিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।

জেরায় অবশ্য ওই নাবালিকা দাবি করে, মায়ের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির কথোপকথন, উৎশৃঙ্খল জীবন যাপন, প্রত্যেকদিন বাড়িতে মদ্যপান ভাল লাগত না নাবালিকার। সে কারণেই ওই নাবালিকা এই ছক কষেছিল। যদিও মেয়ের এই অভিযোগও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মা।