কলকাতা: হেস্টিংসকাণ্ডে (Hasting Case) আরও ৫ জনের বয়ান রেকর্ড করা হল। নিহত যুব মোর্চার সহ সভাপতি রাজু সরকারের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলবে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা।
কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা ইতিমধ্যে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতলে (যেখানে বিজেপি নেতাকে ভর্তি করা হয়েছিল) গিয়ে খোঁজখবর করেন। হেস্টিংস অফিসে বৈঠক চলাকালীন বাদানুবাদ হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। অন্যদিকে, হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ে যান হেস্টিংস থানার ওসি। কথা বলেন বিল্ডিং ইনচার্জের সঙ্গে। বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয়ে থাকা সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
হেস্টিংসের দফতরে দু’দিনের বৈঠক চলছিল যুব মোর্চার। সেই বৈঠকের শেষের উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয় এবং বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন যুব মোর্চার সহ সভাপতি রাজু সরকার। কিন্তু আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। সেই সময় তৎক্ষণাৎ তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে কোনও শয্যা মেলেনি। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইএম বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
দমদমের নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রাজু। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৈঠকের সামনেই সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে এসেছিলেন রাজু। তারপর আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় ওই বিজেপি নেতার। আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ চলে যাওয়ার পর পরিচয় দিতেন এসআই হিসাবে! এই ‘ঠগ’এর কীর্তি আরও মারাত্মক