কলকাতা: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা উত্তপ্ত। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর স্পেশাল বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।
শুনানিতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সৌম্য বলেন, “মুর্শিদাবাদের আগুন কলকাতাতেও ছড়িয়েছে। তিন দিন আগে শুরু হয়েছে। সামশেরগঞ্জে বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। ডিএম বলছে, সিচুয়েশন কন্ট্রোলে আছে। স্পর্শকাতর জেলা মুর্শিদাবাদ। মানুষের অসুবিধা করে আন্দোলন চলতে পারে না।” স্পেশাল বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, কেন তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছেন? শুভেন্দুর আইনজীবী জানান, রাস্তায় তাঁরা কোনও অবরোধ চাইছেন না। সেজন্য সিআরপিএফ মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছেন।
মুর্শিদাবাদ ছাড়া কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর? জানতে চাইলেন বিচারপতি সৌমেন সেন। রাজ্যের আইনজীবী অর্ক নাগ বলেন, ১৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিকরা আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে রয়েছেন।
স্পেশাল বেঞ্চ বলে, “ভোট পরবর্তী হিংসায় যেমন কিছু সময়ের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, তেমন এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। আপনার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। কমানো হচ্ছে না। কিছু দিনের জন্য বাহিনীর কথা বলা হচ্ছে। কারণ হিংসা যে হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট।”
রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “আমাদের কাল পর্যন্ত সময় দিন। আমরা বুধবার রিপোর্ট দেব। কারণ আজ অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) নেই। বলার সুযোগ দেওয়া হল না।”
বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “রাজ্য় বেশ কিছু জায়গায় বিএসএফ চেয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক।” রাজ্যের আইনজীবী তখন বলেন, “আমাদের অন্তত আধ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক।” রাজ্যের আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট।