কলকাতা: বিজ্ঞাপন মামলায় অস্বস্তি বহাল রইল বিজেপির। মামলায় সাড়া দিতে রাজি হল না কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্বাচনী আবহে নির্দিষ্ট কিছু বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, সেই বিজ্ঞাপনগুলি সরিয়ে দিতে হবে, প্রকাশ করা যাবে না। বিজেপির নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। এদিন প্রধান বিচারপতি কলকাতার দেওয়াল লিখনের কথা উল্লেখ করেন পর্যবেক্ষণে।
বিজেপির তরফে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র এদিন ডিভিশন বেঞ্চে উল্লেখ করেন, বিজেপিকে বিজ্ঞাপন দিতে নিষেধ করা হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনগুলিতে দুর্নীতি সহ নানা বিষয় উল্লেখ করে রাজ্য সরকারকে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত ১২ মে নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ জানানো হয়।
পরে গত ২০ মে মামলার শুনানিতে বিজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অথচ তাদেরকেই মামলার কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। তারপরেও মামলা শোনা হয়। বিজেপির তরফে আরও জানানো হয়েছে, লোকসভা ভোট চলছে। শুনানির দিনও নির্বাচন ছিল। তাই তারা উপস্থিত থাকতে পারেনি। তারপরও কেন মামলা শোনা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
প্রধান বিচারপতি এদিন মামলায় সাড়া দেননি। তিনি জানিয়েছেন প্রয়োজনে ফের সিঙ্গল বেঞ্চে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম উল্লেখ করেন, ভোট আবহে দেশের অন্যান্য জায়গায় হোর্ডিং বা মূর্তি ঢেকে দেওয়া হয়, যাতে ভোটাররা প্রভাবিত না হন। কিন্তু কলকাতায় তা হয় না। তিনি বলেন, “কলকাতায় এসে দেখেছি দেওয়াল লিখন মোছা হয়না। মালা রায়ের নামে দেড় বছর আগে দেওয়াল লিখন হয়েছে, কিন্তু মোছা হয়নি।” প্রধান বিচারপতির বাসভবনের উল্টোদিকেই সেই দেওয়াল লিখন আছে বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বিজেপিকে বলেন, “আপনারা জাতীয় দল। যদি কোনও বিজ্ঞাপন দিতে হয়, তাহলে সেটা প্রকাশ্যে আনা উচিত। আগে কমিশনের অনুমতি নেওয়া উচিত। আমরা এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে পারেন।”