Vaifota: ভাইফোঁটার সকালে বাজারে গিয়ে মাথায় হাত, ব্যাগ ভর্তি না করেই ফিরছে মধ্যবিত্ত
Vaifota: এদিন সকালে মানিকতলা বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি প্রতি। সেখানে কাঁচা লঙ্কা একেবারে ডাবল সেঞ্চুরি। বিক্রি হচ্ছে দেড়শো থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। বেগুনও আকাশছোঁয়া। বিক্রি হচ্ছে দেড়শো টাকা কেজি দরে।
কলকাতা: পাকা ধানে আগেই মই দিয়েছে দানা। সঙ্গে তছনছ হয়েছে সবজির জমি। তারপর থেকেই শাক-সবজি থেকে ফলমূলের দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। মাথায় হাত আম-আদমির। ভাইফোঁটাতে যে তার ছাপ পড়তে চলেছে সে আশঙ্কা আগেই করেছিলেন সবজি বিক্রিতেরা। আর হলও তাই। ভাইফোঁটার সকালে বাজার করতে গিয়ে রীতিমতো পকেটে টান মধ্যবিত্তের। ক্রেতারা বলছেন, দাম তো ঊর্ধ্বমুখী বলে রেহাই নেই। একাধিক জায়গায় তো একেবারে দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কিছু কিছু সবজি।
এদিন সকালে মানিকতলা বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি প্রতি। সেখানে কাঁচা লঙ্কা একেবারে ডাবল সেঞ্চুরি। বিক্রি হচ্ছে দেড়শো থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। বেগুনও আকাশছোঁয়া। বিক্রি হচ্ছে দেড়শো টাকা কেজি দরে। দাম দেখে এক ক্রেতা তো খানিক হতাশার সুরেই বললেন, “অন্যদিনের থেকে অনেক বেশি দাম। কিন্তু, কী আর করা যাবে। একটাই তো দিন। আজ ভাইয়েদের দিন। তাই কিনতে হবেই। সুবিধা মতো একটু অল্প অল্প করে কিনছি। তবে মাছ-মাংস সহ ভাই যা যা খেতে ভালবাসে সবই হচ্ছে।”
অন্যদিকে বেগুন, কাঁচা লঙ্কাকে আবার বলে বলে গোল দিচ্ছে বিন্স। দাম আড়াইশোর গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা কিলোদরে বিক্রি হচ্ছে। পটল ৬০ টাকা কেজি। শশার দামও বাড়ছে একেবারে রকেটের গতিতে। ৭০ টাকা কিলো প্রতি বিক্রি হচ্ছে শসা। বিক্রিতেরা বলছেন, “আমদানি তো খুবই কম। মালও হাতে বিশেষ নেই। এদিকে চাহিদা ভালই। তাই দাম যে বেড়ে যাবে তা কী আর বলতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছু সময় লেগে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।” শুধু শসা-পটল নয় উচ্ছেও বিক্রি হচ্ছে ষাট টাকা কেজি দরে। ভেন্ডিও তাই। পেঁপে সেখানে চল্লিশ টাকা। ঝিঙে ৬০ টাকা কেজি। গাজর ৭০ টাকা কেজি। ক্যাপসিকাম ২০০ টাকা কেজি। চন্দ্রমুখি আলুও চল্লিশ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি।