Kalyan Banerjee: ‘বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ করে তাহলে নিরাপত্তা কী করে দেবে?’ বলছেন আইনজীবী কল্যাণ
Kalyan Banerjee: ইতিমধ্যে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই ঘটনায় লেগে গিয়েছে রাজনীতির রঙ। ফের উত্তাল বাংলা।

মধুকল্পিতা চৌধুরীর রিপোর্ট
কলকাতা: কসবায় ল কলেজে গণধর্ষণ নিয়ে উত্তাল কলকাতা। আছড়ে পড়ছে প্রতিবাদের ঢেউ। নিজেরই কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রীকে। ইতিমধ্যে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই ঘটনায় লেগে গিয়েছে রাজনীতির রঙ। ক্ষোভে ফুঁসছে বিজেপি। পথে নেমে পড়েছে এসএফআই। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি যদিও শুরুতে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। শেষে তাঁর স্পষ্ট কথা, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে এ ধরনের ঘটনা আটকানো কার্যত অসম্ভব।
সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, “নিরাপত্তা সবই রয়েছে। একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে রেপ করে তাহলে নিরাপত্তা কী করে দেবে? কলেজের ভিতরে যদি করে তাহলে সেখানে কী পুলিশ থাকবে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ থাকবে? নিরাপত্তা তো সহকর্মীরা দেবে। কিন্তু তারাই তো রেপ করছে। কলেজ কর্তৃপক্ষকেও নিরাপত্তা দিতে হবে। কিন্তু, আগে কে দেবে? সহকর্মীরাই তো এটা করছে। প্রাক্তনরা কলেজে ঢুকলেও নিঃসন্দেহে কোনও লিঙ্ক আছে।”
তাঁর দাবি, “কলেজ কর্তৃপক্ষ তো সরকার নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” তিনি বলছেন, “সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কী পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে? এটা তো হয় না।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “আসলে মানসিকতার পরিবর্তন দরকার। ওটা আগে বদল দরকার। আসলে মহিলাদের পুরুষদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আইন দিয়ে পুলিশ দিয়ে তো হবে না। মানসিকতার পরিবর্তন চাই। ছাত্ররা যদি তাঁদের বন্ধুকে ধর্ষণ করে তাহলে তো তার থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না।”
