Humayun Kabir: ‘দিদির বাড়ি থেকে ৬০০ মিটার দূরে থাকে বলে…’, ববি হাকিমকে এ কী বললেন হুমায়ুন
Humayun Kabir: হুমায়ুন মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি যেমন ঠুসো মারার কথা বলেছেন, তেমনই রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন।

কলকাতা: শোকজেই শেষ হয়নি। সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। দলের একাধিক নেতা তাঁকে পরোক্ষে নীতি-নিয়মের পাঠ দিচ্ছেন। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “দলের নিয়ম মানতে হবে। উনি একজন বিধায়ক, সেটা ভুললে চলবে না।” একই কথা বলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেছেন, ‘দলে থাকতে গেলে নিয়ম মানতে হবে।’ এ কথা শুনেই ফিরহাদ হাকিমের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “উনি সঠিক কথাই বলেছেন। দলে থাকতে গেলে নিয়ম মানতেই হয়। কিন্তু সেটা কি শুধু আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? ববি দার ক্ষেত্রে বা বাকিদের ক্ষেত্রে নয়? নাকি দিদির বাড়ির ৬০০ মিটার দূরে বাস করে বলে শৃঙ্খলা মানতে হবে না!”
হুমায়ুন মনে করিয়ে দিয়েছেন, তিনি যেমন ঠুসো মারার কথা বলেছেন, তেমনই রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁকে কেন শোকজ করা হল না? সেই প্রশ্ন তুলেছেন হুমায়ুন।
মুর্শিদাবাদে গেলে কি শুভেন্দু অধিকারীকে সত্যিই আটকাবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, “আমার কমিউনিটিকে অ্য়াটাক করেছেন। সেই কথাটা প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে মুর্শিদাবাদে গেলে দেখিয়ে দেব হুমায়ুন কবীর কত বড় নেতা। রাতের অন্ধকারে গেলে চলবে না। সাহত থাকলে তিনদিন আগে নোটিস দিয়ে যেতে হবে।”
হুমায়ুন মনে করিয়ে দিয়েছেন, অধীর চৌধুরী রেলের মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকেও আড়াই ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করতে ছেড়েছিলেন তাঁকে।





