Firhad Hakim: আমার সম্পত্তির হিসাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছি : ফিরহাদ
Firhad Hakim: এর আগে ফিরহাদের বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআই। নারদ মামলার তদন্তে নেমে গত বছর ২১ মে বাড়ি থেকে তুলে ফিরহাদকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসে সিবিআই।
কলকাতা: ‘আমার সম্পত্তির হিসাব মুখ্যমন্ত্রীকে (Chief Minister) দিয়েছি’। ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে টিভি-৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাটার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। প্রসঙ্গত, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার ছবি দেখে চোখ কপালে উঠেছিল আম-আদমির। তারপর থেকে জেলে ঠাঁই হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলে গিয়েছেন অর্পিতাও। অন্যদিকে গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর পর থেকে কারাবন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সম্পত্তি, আয়ের উৎস নিয়েও বিস্তর ধোঁয়াশা খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বারবার তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে ফিরহাদের এ মন্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
টিভি-৯ বাংলায় এসে ফিরহাদ বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি আমাদের সবার উপরে আপনার একটা নজর থাকা উচিত। আমার সম্পত্তির হিসাব এবং আমার ব্যালেন্স শিট আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জমা দিয়েছি। আমার মনে হয় দলের প্রত্যেক নেতার এটা জমা দেওয়া উচিত। আমি ক্যাবিনেটে এটা বলেছিলাম। আমি নিজে জমা দিয়েছি।” তবে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোরের মন পুলিশ পুলিশ। ডাল মে কুছ কালা হ্যা। তাই আগে থেকে ভয় পাচ্ছেন। আমাদের তো কাউকে হিসাব দিতে হয় না। যার ইচ্ছা দেখে নিতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী দেখতে পারেন। আমার দলের সভাপতি আছেন। তিনি দেখবেন। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। ভয়েরও কিছু নেই। যাঁদের ভয় আছে মনে তাঁরা হিসাব দিয়ে রেখেছেন।”
প্রসঙ্গত, এর আগে ফিরহাদের বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআই। নারদ মামলার তদন্তে নেমে গত বছর ২১ মে বাড়ি থেকে তুলে ফিরহাদকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসে সিবিআই। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। যা নিয়েও বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় বিস্তর হিন্দোল ওঠে। যদিও তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। একাধিক নেতার নাম দুর্নীতিতে জুড়ে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। এই প্রেক্ষাপটে ফিরহাদের ‘সম্পত্তি’ মন্তব্যে ফের শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।