Nawsad Siddique: মন্ত্রী হওয়ার ‘অফার’ ছিল! চাঞ্চল্যকর দাবি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী না হওয়া নওশাদের

Nawsad Siddique: আইএসএফের বড় রাজনৈতিক মুখ তিনি। বিধানসভায় তৃণমূল ও বিজেপির বাইরে একমাত্র বিধায়ক তিনি। ডায়মন্ড হারবার থেকে তাঁর ভোটে না দাঁড়ানো নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এবার সেই নওশাদ সিদ্দিকীর মুখে চাঞ্চল্যকর দাবি। জানালেন, তাঁর কাছে মন্ত্রী হওয়ার 'অফার' ছিল।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 10, 2024 | 7:55 PM

কলকাতা: মন্ত্রী হওয়ার ‘অফার’ ছিল নওশাদ সিদ্দিকীর কাছে! ভোটে গরম বাংলায় এবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ডায়মন্ড হারবার থেকে প্রার্থী না হওয়া আইএসএফ চেয়ারম্যান স্বয়ং। টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বুধবার এমনই দাবি করলেন নওশাদ। সাম্প্রতিক অতীতে আইএসএফ তথা নওশাদ সিদ্দিকীর রাজনৈতিক গতিবিধি নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। এমনকী এমনও গুঞ্জন উঠেছে, তিনি নাকি তৃণমূলের থেকে আর্থিক সাহায্যও নিয়েছেন। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করায় সোজাসাপ্টা জবাব আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর।

নওশাদের বক্তব্য, তিনি এখনও পর্যন্ত এমন তিনটি গুজবের কথা শুনতে পেয়েছেন। এক জায়গায় বলা হচ্ছে, তিনি ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন। অপর একটি জায়গায় বলা হচ্ছে, ৩২ কোটি টাকা। তো কোথাও আবার বলা হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই আইএসএফ চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, ‘যদি টাকা তোলাই আমার স্বপ্ন থাকত, আমার কাছে তো মন্ত্রিত্বের অফার ছিল। কোনও একটা দফতরে চলে যেতাম। সহজেই আমার সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর পাওয়ার সুযোগ ছিল।’

তৃণমূলের থেকে নওশাদ টাকা নিয়েছেন বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, সেই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর মতে, যদি টাকা কামানোই অভিপ্রায় থাকত, তাহলে তিনি মন্ত্রিত্বের ‘অফার’ গ্রহণ করে, সহজেই টাকা কামানোর সুযোগ পেতেন। উল্লেখ্য, তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একটি বড় হাতিয়ার হল বিভিন্ন প্রকল্পের থেকে কাটমানির অভিযোগ। এখানেও মূলত সেই দিকেই ইঙ্গিত করে নওশাদের ব্যাখ্যা, টাকা কামানোর ইচ্ছা থাকলে, তিনি মন্ত্রী হয়ে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়েই ৩০০ কোটি তুলে নিতে পারতেন। সেই প্রসঙ্গে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের উদাহরণ টেনেই নওশাদ বললেন, ‘সেখানে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। গত বারে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। এবার আমি যদি দায়িত্ব নিয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতাম, তাহলে ১০ শতাংশ (কাটমানি) হলে, ৩০০ কোটি টাকা পকেটে চলে আসত, কেউ ধরতেই পারত না। টাকা কামানোর ইচ্ছা থাকলে, তাহলে এরকমভাবে করা যেত।’