Jadavpur Vidyapith: উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে ফেল, বিরিয়ানি খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী
Jadavpur Vidyapith: বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। পাশ করার কথা বলে মায়ের থেকে ফর্ম ফিলাপের টাকাও নিয়েছিল স্নেহা। পরিবার সূত্রে খবর, ছোট থেকেই খুব বিরিয়ানি খেতে ভালবাসত দ্বাদশের ওই ছাত্রী। মায়ের থেকে ফর্ম ফিলাপের টাকা নিয়ে তা নিয়ে বিরিয়ানিও কিনে এনেছিল। তারমধ্যে ঘটে যায় এই ঘটনা।
কলকাতা: টেস্টের রেজাল্ট বের হতে দেখা যায় পাশ করতে পারেনি। কিন্তু, বাড়িতে জানায় সে পাশ করেছে। মায়ের থেকে ফর্ম ফিলাপের টাকাও নেয়। কিন্তু, তারমধ্যে ঘর থেকে উদ্ধার হল উচ্চমাধ্যমিকের ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা মুন্ডা। বাড়ি গড়িয়ায়। পড়াশোনা চলছিল যাদবপুর বিদ্যাপীঠে। বৃহস্পতিবার স্কুলে টেস্টের রেজাল্ট বের হয়। তারপরই বাড়িতে ফোন করে স্নেহা জানায় সে পাশ করেছে। মা ও দুই বোন ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই। বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। পাশ করার কথা বলে মায়ের থেকে ফর্ম ফিলাপের টাকাও নিয়েছিল স্নেহা। পরিবার সূত্রে খবর, ছোট থেকেই খুব বিরিয়ানি খেতে ভালবাসত দ্বাদশের ওই ছাত্রী। মায়ের থেকে ফর্ম ফিলাপের টাকা নিয়ে তা নিয়ে বিরিয়ানিও কিনে এনেছিল।
স্নেহার মা কাজ করেন রেলে। সকালেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। বাড়ি ফিরে কিনে আনা বিরিয়ানিও খায় স্নেহা। এদিকে বিকালে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ঘরে ঢুকতেই স্নেহার মা দেখেন ফ্ল্য়াটের দরজা খোলা। গলায় ওড়ানা জড়িয়ে ঝুলছে মেয়ে। এ দৃশ্য দেখেই চিৎকার শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনেই ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। উদ্ধার করা হয় স্নেহা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ততক্ষণে সব শেষ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
ঘটনায় স্নেহার আত্নীয় ঝন্টু বিশ্বাস বলছেন, “রেজাল্ট বের হতে দেখা যায় ওর লিস্টে নাম নেই। সেটা বাড়িতে বলেনি। উল্টে ফর্ম ফিলাপের জন্য টাকাও নিয়েছিল। মা বারবার রেজাল্ট নিয়ে জিজ্ঞেস করতে ও বলে পাশ করেছি। তারপর বাড়িতে আর কেউ ছিল না। ও একাই ছিল। তখনই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” প্রতিবেশী প্রলয় বিশ্বাস বলছেন, “সব তো ভালই ছিল। আমচকা এটা ঘটে যায়। ও যে টেস্টে অ্য়ালাউ হয়নি এটা আমরা জানতাম না। বাড়ি থেকে ফর্ম ফিলাপের টাকাও নিয়েছিল। কেউ কিছু বুঝতেই পারেনি। এদিকে ওর মা ছাড়া কেউ নেই। যখন এটা ঘটে তখন ওর মা ডিউটিতে গিয়েছিল। রেলে চাকরি করেন উনি। বাড়ি ফিরে এসে দেখেন এই কাণ্ড।”