Human Brain: মানব মস্তিষ্কের কোষেই ম্যাজিক, এবার মানুষের মতোই ভাববে, শুনবে, কথা বলবে কম্পিউটার?

Human Brain: মানুুষের মস্কিষ্কের ক্ষমতা অসীম। সেই ক্ষমতাকেই এবার যন্ত্রে যুক্ত করার পথে হাঁটছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের মস্তিষ্কের জটিল নেটওয়ার্কের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তৈরি করা হচ্ছে বায়ো কম্পিউটার। মানুষের মস্তিষ্কের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকর্তা নিউরোন।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2023 | 2:16 PM

কলকাতা: ‘পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে ড্রয়িংরুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী’, সত্যিই কী তাই? মহীনের ঘোড়াগুলির সেই গানটাই যেন আজ বড্ড মনে পড়ছে। তথ্য-প্রযুক্তির হাত ধরে দুনিয়াটা ক্রমশই ছোট হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল থেকে কম্পিউটার, দিবারাত্র তাতেই আমাদের চোখ। এবার সেই কম্পিউটারের দুনিয়াটাই ক্রমশ বদলে যেতে চলেছে। সৌজন্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এআইকে ব্যবহার করে এক অসাধ্যসাধন করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রায় শেষের পথে। মানুষের মস্তিষ্কের জটিল নেটওয়ার্কের ধাঁচে একটি কৃত্রিম মস্তিষ্ক তৈরি করে ফেলেছেন গবেষকরা। তার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ, মানুষের মস্তিকের মতো এবার কাজ করবে কম্পিউটার। আর এটার বাস্তবায়ন হলে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

মানুুষের মস্কিষ্কের ক্ষমতা অসীম। সেই ক্ষমতাকেই এবার যন্ত্রে যুক্ত করার পথে হাঁটছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের মস্তিষ্কের জটিল নেটওয়ার্কের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তৈরি করা হচ্ছে বায়ো কম্পিউটার। মানুষের মস্তিষ্কের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকর্তা নিউরোন। যা দিয়েই বিপুল তথ্য প্রত্যহ বিশ্লেষিত হয়। এর প্রধান কারণ, মস্তিষ্কের প্রসেসর ও মেমোরি ডিভাইস, দুটিরই কাজ করে দেয় নিউরন। মস্তিষ্কের নিউরন যেভাবে কাজ করে সেভাবে কম্পিউটারও যাতে কাজ করতে পারে সেই পথ খুঁজতে মগ্ন বিজ্ঞানীরা। লাগাতার সেই কাজ করে চলেছেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় ব্লুমিংটনের গবেষক ফোং গুয়ো ও তাঁর সঙ্গীরা। 

কোন পথে চলছে গবেষণা? 

প্রথমে গবেষণাগারে তৈরি করা হয় মানুষের মস্তিষ্কের মতো কোষকলা বা অর্গানয়েড। যাকে মিনি ব্রেনও বলা যেতে পারে। তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় কম্পিউটার সার্কিট। এই সার্কিট গলার স্বর চিহ্নিতকরণ করতে পারে, তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে এবং তা ধরেও রাখতে পারে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ব্রেনোঅয়্যার। গবেষকরা জানাচ্ছেন এই ব্রনোঅয়্যার আদপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মস্তিষ্কের কোষকলার মধ্যে একটা সেতু। তবে একশো শতাংশ সঠিক ফলাফল দিতে পারেনি এই সার্কিট। গবেষণায়, একে ৮ জনের কথোপকথনের ২৪০টি রেকর্ডিং শোনানো হয়েছিল। বক্তা চিহ্নিত করার এই পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ সফল হয়েছে এই যন্ত্র। 

যদিও গবেষণা সম্পর্কে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় ব্লুমিংটনের গবেষক ফোং গুয়ো জানিয়েছেন, মানব মস্তিকের জটিলতম বিষয়গুলি এখানে থাকছে না। তার গঠন আসল মস্তিষ্কের চেয়ে তুলনামূলভাবে সরল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা পরিবর্তিত হবে। এখন দেখার গবেষণার ফলে একশো শতাংশ নিশ্চিত রেজাল্ট মিললে কবে বাস্তবের মাটিতে পা রাখে এই কম্পিউটার।