কলকাতা: ভোট এগিয়ে আসছে। আর বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে ঘনঘন আগমনও বাড়ছে। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তাঁকে স্বাগত জানাতে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল হোটেলে চলে যান নাড্ডা। আজ রাতটা কাটাবেন সেখানেই। বৃহস্পতিবার রয়েছে বিরাট কর্মসূচি।
সর্বপ্রথম মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে ‘সোনার বাংলা’ (Sonar Bangla) অডিয়ো ভিজুয়াল নির্বাচনী ইস্তেহার (Manifesto) প্রকাশ করবেন তিনি। এই ইস্তেহার দেখা যাবে ২৯৪ ভ্যানে। সব বিধানসভা সভা কেন্দ্রে এই ভ্যান যাবে। সোনার বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি যেমন এই ভ্যানে থাকবে, তেমনি ‘সাজেশন বক্স’ও থাকবে। যে পরামর্শগুলি সেখানে জমা পড়বে, তা পড়ে দেখবে বিজেপির ইস্তেহার কমিটি দেখবে। এর পরই দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে।
বিজেপির সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য কর্মসংস্থান। দেশজুড়ে বেকারত্ব ছবিটা যেরকম হোক না কেন, রাজ্যে পালাবদল হলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরির বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী শাহ-নাড্ডারা। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার যাতে এই সুরে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। দুই জায়গায় এক সরকার থাকলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনার’ চিরাচরিত অভিযোগও তোলা যাবে না। এ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে বদল এনে শিক্ষার বিস্তার করার দিকে নজর দিতে চায় বিজেপি। গত কয়েক দশক ধরে বড় শিল্পের অভাবে ভুগতে থাকা রাজ্যে শিল্প এবং বিনিয়োগের দ্বারও খুলতে চায় গেরুয়া শিবির।
আরও একটি বিষয় ইস্তেহারে না রেখেও রাজ্যবাসীর মননে ঢুকিয়ে দিতে চান বিজেপি নেতারা। সেটা হল- বাঙালি মনীষীদের প্রতি তাঁদের সম্মান। সেই চেষ্টায় বিজেপি নেতারা কতটা মরিয়া, তা ইদানিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে বাঙালি কবিতার ব্যবহার বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে ঋষি অরবিন্দ ভবন পরিদর্শনের মাধ্যমেই পরিষ্কার। জেপি নাড্ডার সফর সূচিও সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
আরও পড়ুন: ‘ঠিক করেছে পুলিশ’ রাকেশ কাণ্ডে বিস্ফোরক রূপা, পাল্টা দিলেন দিলীপ
সকালের কর্মসূচি সেরে দুপুর দেড়টা নাগাদ নৈহাটিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন নাড্ডা। সেখান থেকে যাবেন গৌরীপুরে চটকল শ্রমিকের বাড়িতে, সারবেন মধ্যাহ্নভোজন।
খাওয়া-দাওয়া সেরে বারাকপুরে আনন্দপুরী কালীবাড়ি পরিদর্শন করবেন। এর পর অংশ নেবেন আনন্দপুরী খেলার মাঠে নবদ্বীপ এলাকার পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। বিকেল ৪টে ১০ মিনিটে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সাড়ে ৪টে নাগাদ মঙ্গল পাণ্ডে স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। এর পর সন্ধেয় কলকাতায় ফিরে সায়েন্স সিটিতে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। কাল রাতেই তিনি দিল্লি ফিরে যাবেন বলে খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ের আসনও আব্বাসকে ছাড়বে বামেরা, জোটের স্বার্থে বেনজির ‘নমনীয়তা’