Junior doctors: মনের মধ্যে আন্দোলনের আগুন জ্বেলে রেখেই অপারেশন থিয়েটারে লহরী, অনিকেতরা
Junior doctors: জুনিয়র ডাক্তারদের যে ছবি এদিন দেখা গেল, এই কাজে তাঁরা দক্ষ। কিন্তু, গত দেড়মাসে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সত্তাও দেখেছে বাংলার মানুষ। গত ৯ অগস্ট আরজি করে এক জুনিয়র ডাক্তারের নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে প্রথমে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর টানা আন্দোলন। পাঁচ দফা দাবিতে অনড় থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন।
কলকাতা: হাতে ছুরি-কাঁচি। পরনে অ্যাপ্রন। অপারেশন থিয়েটারে মগ্ন তাঁরা। কিংবা গলায় স্টেথোস্কোপ। রোগী দেখতে ব্যস্ত। গত একমাসের বেশি যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে দেখা গিয়েছে, তাঁরা কাজে ফিরেছেন। অপারেশন থিয়েটারে দক্ষ হাতে অস্ত্রোপচার করলেন। শনিবার এই ছবি দেখা গিয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। বাগুইআটির সন্ধ্যা সাধুখাঁ নামে বছর ছাপান্নর এক মহিলার অবস্ট্রাকটেড আমবিলিক্যাল হার্নিয়া অপারেশন করলেন চার জুনিয়র ডাক্তার।
জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাধুখাঁ হাসপাতালের ওপিডি-তে দেখাতেন। এদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় এমারজেন্সিতে দেখান। তখনই তাঁর অবস্ট্রাকটেড আমবিলিক্যাল হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন ওই মহিলার অস্ত্রোপচার হয়। অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন চার জুনিয়র ডাক্তার। লহরী সরকার, রক্তিম মজুমদার, অনিকেত মাহাতো এবং সৌরভ নন্দী।
জুনিয়র ডাক্তারদের যে ছবি এদিন দেখা গেল, এই কাজে তাঁরা দক্ষ। কিন্তু, গত দেড়মাসে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সত্তাও দেখেছে বাংলার মানুষ। গত ৯ অগস্ট আরজি করে এক জুনিয়র ডাক্তারের নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে প্রথমে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপর টানা আন্দোলন। পাঁচ দফা দাবিতে অনড় থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে হাতে ছুরি-কাঁচির বদলে মাইক্রোফোন তুলে নিয়েছেন। বৃষ্টিতে ভিজেছেন। কিন্তু, আন্দোলন থেকে সরেননি। জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে সমর্থন জানাতে দেখা গিয়েছে।
সিনিয়র ডাক্তাররা এতদিন রোগীদের পরিষেবা দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতি রবিবার তিলোত্তমার নামে ক্লিনিকে রোগী দেখেছেন। তারই মধ্যে অনিকেতরা তিলোত্তমার বিচার চেয়ে গলার স্বর বাড়িয়েছেন। সেই অনিকেতকে এদিন দেখা গেল অপারেশন থিয়েটারে। তবে আন্দোলন যে থামবে না, তা এদিন স্পষ্ট করে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তিলোত্তমার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে বলে জানালেন। হাতে ছুরি-কাঁচি শোভা পেলেও তিলোত্তমার বিচার না পাওয়া মনের মধ্যে আন্দোলনের আগুন জ্বলবে।