Junior Doctors Protest: ‘রাজপথ ছাড়ছি না, ছাড়ব না…’, হুঙ্কার জুনিয়র ডাক্তারদের
Debasish Halder: জুনিয়র চিকিৎসক নিজের বক্তব্যে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন তাঁরা সিবিআই হোক বা সুপ্রিম কোর্ট! কারও ভূমিকাতেই খুশি নন। দেবাশিস বলেন, "সিবিআই-এর প্রাথমিক চার্জশিট দুর্বল। এর আগেও আমরা দেখেছি ক্ষমতার কাছে সিবিআই-এর বিকিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
কলকাতা: তিনটে মাস কেটেছে। বিচার পায়নি তিলোত্তমা। ন্যায় বিচার তথা দশ দফা দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন তুলে নেওয়ার পর থেকে এই আন্দোলন থীতু হয়ে পড়ল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন জনসাধারণের একাংশ। শনিবার সেই সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার পরিষ্কার জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না ন্যায় বিচার পাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।
দেবাশিস বলেন, “তিন মাস পেরলো। কী পেয়েছি না পেয়েছি তা আজ হিসাব করব না। শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জনগণ যে আন্দোলনের ধক দেখাচ্ছে সেইটাই পাওয়া। দলীয় রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলে মানুষ সোচ্চার হচ্ছেন। এটা পাওয়া। তবে কী পেলাম না আমরা? যেটা পেলাম না সেটা ন্যায় বিচার। এখনও জানতে পারলাম না ৯ তারিখ এই নারকীয় কাণ্ড কেন কারা ঘটিয়েছিল।”
জুনিয়র চিকিৎসক নিজের বক্তব্যে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন তাঁরা সিবিআই হোক বা সুপ্রিম কোর্ট! কারও ভূমিকাতেই খুশি নন। দেবাশিস বলেন, “সিবিআই-এর প্রাথমিক চার্জশিট দুর্বল। এর আগেও আমরা দেখেছি ক্ষমতার কাছে সিবিআই-এর বিকিয়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। সিবিআই-এর কাজে খুশি হচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টে তারিখ পে তারিখ। এমন একটা সংবেদনশীল ঘটনা, তার বিচারের জন্য এই রকম জায়গায় যেত হয়। তাহলে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ কোথায় যাবেন? বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের প্রতি আস্থা ধাক্কা হচ্ছে। তাই তিন মাস কাটুক আর যত দিন কাটুক, যতক্ষণ না তিলোত্তমা ন্য়ায় বিচার পাবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা কেউ রাজপথ ছড়ছি না। ছাড়ব না।”