ইয়াস বিদায় নিলেও সাত সকালে কালবৈশাখী দাপট দেখাল কলকাতায়
ইয়াসের (Cyclone Yaas) রেশ না কাটতেই আচমকা কালবৈশাখী। নিম্নচাপের জেরে সারাদিন জারি থাকবে বৃষ্টি আর দমকা বাতাস।
কলকাতা: সাইক্লোন ইয়াসের (Cyclone Yaas) প্রভাব তেমনভাবে পড়েনি কলকাতায়। আশঙ্কা থাকলেও বুধবার তেমন ভারী বৃষ্টিপাতও হতে দেখা যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার সাত সকালে কালবৈশাখী বয়ে গেল কলকাতার (Kolkata) ওপর দিয়ে। ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইল শহরের ওপর দিয়ে। এ দিন সকাল ৮টা ১২ মিনিটে সেই কালবৈশাখী হয়। এছাড়া সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি।
গত কাল, ইয়াসের ল্যান্ডফলের দিন কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আজ সকালেও ঝড়ের গতিবেগ ছিল তারই কাছাকাছি। মিনিট খানেক ধরে চলে কালবৈশাখী। আজ সারাদিন ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শহর জুড়ে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু কলকাতা নয়, শহর সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গের জেলা যেমন দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতেও আজ সারাদিন চলবে বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন ইয়াস চলে গেলেও এই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে তারই প্রভাবে।
আবহাওয়া দফতরে সূত্রের খবর, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস খানিকটা দুর্বল হয়েছে ঠিকই। তবে সেটি এখনও গভীর নিম্নচাপের শক্তি নিয়ে রাঁচির কাছে অবস্থান করছে। আর নিম্নচাপ সমুদ্র থেকে হাওয়া টেনে নিচ্ছে নিজের দিকে। কলকাতা-সহ উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়েই বইছে সেই হাওয়া। সেই কারণেই ঝড় চলে গেলেও এখনও দমকা বাতাস মাঝে মধ্যেই ধাক্কা মারছে। আর তার জেরেই একাধিক জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়েছে। সেই মেঘের কারণেই এ দিন কালবৈশাখী হয়। যেহেতু ঝড়ের অভিমুখ ঝাড়খণ্ডের দিকে, তাই একটা বড় প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। আজ, সেই কারণে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টি হবে দিনভর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃহস্পতিবার সকালেও রয়েছে ভরা কোটাল। ফলে দুপুর ২.০৩ মিনিটে গঙ্গার জলস্তর হবে প্রায় ১৮ ফুট। ইয়াসের দাপট কমলেও আজও কলকাতার একাংশ জোয়ারের জলে ভাসার সম্ভাবনা। বেলা ১১.৩০ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লকগেট। এই সময়ে বৃষ্টি হলে কলকাতায় জমবে জল। পরে লকগেট খুললে নেমে যাবে জমে থাকা জল।