Kalyan vs Governor: ‘সুপ্রিম কোর্টে যাব…’, রাজ্যপালকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ কল্যাণের
CV Ananda Bose: কল্যাণের 'কুরুচিকর' মন্তব্য সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের মানহানির সমান বলেই দাবি করেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, এর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেই নিয়েও রাজভবনের তরফে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেই সাংবাদিকদের জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

প্রসেনজিৎ চৌধুরী ও সায়ন্ত ভট্টাচার্যের রিপোর্ট
নয়াদিল্লি: চরমে উঠেছে কল্যাণ-রাজ্য়পালের বিবাদ। এবার সিভি আনন্দ বোসকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলেও দাবি করলেন তিনি। রবিবার নয়াদিল্লিতে তৃণমূলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কল্যাণ। সেখান থেকেই ফের বিতর্ক ছুড়ে দেন তিনি। আর শুধু কল্য়াণই নন, বাগযুদ্ধে রথ নামিয়েছেন রাজ্যপালও। আইনি পথে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বিতর্কের সূচনা
গোটা বিতর্কের সূত্রপাত কল্যাণের একটা মন্তব্য ঘিরে। শনিবার হুগলির জেলার চুঁচুড়া তৃণমূলের একটি সভায় যোগ দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘রাজ্যপাল রাজভবনে বসে বিজেপির ক্রিমিনালদের ডাকছেন। সবার হাতে একটা বন্দুক দিচ্ছেন, বোমা দিচ্ছেন।’ কল্যাণের এই মন্তব্যের পর রাতের দিকে একটি বিবৃতি জারি করে রাজভবন। তাতে বলা হয়, খুলে দেওয়া হবে রাজভবন, যে কেউ এসে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পারেন। পাশাপাশি, কল্যাণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের আর্জিও জানান রাজ্যপাল। মনে করিয়ে দেন, অভিযোগ ভুয়ো হলে সাংসদকে সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে।
২৪ ঘণ্টায় পারদ তুঙ্গে
শনিতে বিতর্ক, কিন্তু রবিতেও তা ক্ষান্ত হয়নি। পারদপতনের পরিবর্তে তা উঠেছে তুঙ্গে। কল্যাণের ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের মানহানির সমান বলেই দাবি করেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, এর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেই নিয়েও রাজভবনের তরফে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেই সাংবাদিকদের জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তাঁর কথায়, ‘কোনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে এমন মন্তব্য ফৌজদারি অপরাধের সমান। আমি রাজভবনকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে এই নিয়ে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাঁরা জানেন, কীভাবে এই বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। আর পুলিশ যদি তাঁদের কাজ না করেন, তা হলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও চটলেন কল্যাণ
রাজ্য়পালের FIR প্রসঙ্গে আরও চটে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। প্রয়োজনে পাল্টা মামলা করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কল্যাণের কথায়, ‘যিনি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসে রয়েছেন, তিনি মামলা করার কথা বলছেন? প্রয়োজন পড়লে আমি মামলা করব। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাব। এক পক্ষ কোনও দিন হতে পারে না, দু’পক্ষ হতে হবে।’ এখানেই ক্ষান্ত হননি কল্যাণ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।
সাংসদের কথায়, ‘আমি ওনাকে খোলাখুলি প্রস্তাব দিচ্ছি। সাহস থাকলে আমার প্রস্তাব গ্রহণ করুন। একটা মঞ্চ তৈরি করুন। সাংবাদিকদের ডাকুন, এক দিকে আমি থাকব, অন্য দিকে আপনি। প্রমাণ করে দেব, আপনি কীভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সাহস থাকলে এই প্রস্তাব গ্রহণ করে দেখান। ওনার বিরুদ্ধে তো এককালে মহিলারাও অভিযোগ করেছেন, ব্রাত্য বসু কিছু বলতে গেলে তাঁকেও তাড়িয়ে দেন।’
