kestopur Student Murder: বাগুইআটি-কেসের পুনরাবৃত্তি হলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা, পুলিশ কর্তাদের কড়া পাঠ ডিজি-র
kestopur Student Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে একাধিক জায়গায় পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ। সমন্বয়ের অভাব যে ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে।
কলকাতা: কেষ্টপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই সমন্বয়ের পাঠ। রাজ্য পুলিশের ডিজি জেলা পুলিশের সব সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের একাধিক নির্দেশ দিলেন। সমন্বয় সাধনে কী কী জরুরি, তার পাঠ দিলেন। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন বাগুইআটির মত ঘটনা যেন আর না ঘটে। নইলে যে পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে, তাঁর বিরুদ্ধে করা আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
বাগুইআটি জোড়া খুনে একাধিক জায়গায় পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ সামনে এসেছে। সমন্বয়ের অভাব যে ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে। বাগুইআটি জোড়া খুনে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওসি ও আইও-কে। পুলিশি গাফিলতি যে ছিল, সেই তত্ত্ব এবার আরও জলের মত স্পষ্ট। হাড়োয়া থানা থেকে উদ্ধার হয়েছিল অতনু, অভিষেকের দেহ। অজ্ঞাতপরিচয় দেহ মিলেছে, এই তথ্য পাঠানো হয়েছিল সব থানায়।
সূত্রের খবর, ২৩ অগস্ট সেই মেসেজ পায় বাগুইআটি থানাও। দুই ছাত্রের পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি করে ২৪ অগস্ট। জানানো হয়,২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছে তাঁদের ছেলে। বাগুইআটি থানার পিএসআই দুটি অজ্ঞাত পরিচয় দেহ পাওয়ার কথা ওসি ও আইও-কে জানাননি। সেই কারণেই ১৩ দিন পর খবর মেলে। বুধবারই তদন্তভার সিআইডি-র হাতে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরই তেড়েফুঁড়ে তদন্তে সিআইডি। বুধবার রাতেই ভাঙড় থানায় যায় চার সদস্যের তদন্তকারী দল। কোন সময়ে, কোন পথে গাড়ি গিয়েছিল – সেই তথ্যেই নজর সিআইডি-র। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। সকালে বাগুইআটি থানায় যায় সিআইডি। ফের ভাঙড় থানায় যাওয়ার সম্ভাবনা তদন্তকারী দলের।