Kolkata Metro: কাগজের টিকিট এখন স্মৃতির অতলে, কলকাতা মেট্রোর নয়া ব্যবস্থায় আর লাগবেই না টিকিট
Kolkata Metro: ২০২২-এ মেট্রে নিয়ে এসেছে ‘Metro Ride Kolkata’ নামে একটি অ্যাপ। স্মার্ট কার্ডে টাকা ভরার জন্য এই একটি অ্যাপই যথেষ্ট।
কলকাতা: ৮০-র দশকে চালু হওয়ায় কলকাতা মেট্রো অনেক পথ পেরিয়েছে। টালিগঞ্জ-দমদমের গণ্ডী পেরিয়ে এখন গঙ্গার তলা দিয়ে দৌড়নোর অপেক্ষায় মেট্রো। শহর থেকে মফঃস্বলে নিমেষে পৌঁছে যেতেও এখন মেট্রোর ওপরে ভরসা করেন অনেকেই। আর এই ৩৯ বছর বয়সেই অনেক পরিবর্তন দেখেছে কলকাতার মেট্রো। বয়স যত বেড়েছে, ততই যৌবনের আঁচ লেগেছে। আরও বেশি আধুনিক হয়েছে চেহারা। এবার টিকিট বুক করার ক্ষেত্রে আরও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর।
১৯৮৪ সালে প্রথম শহরের বুকে ছোটে মেট্রো। প্রথমে এই মেট্রোতে যাতায়াত করতে লাগত কাগজের টিকিট। এই ব্যবস্থাই ছিল ১৯৯৬ পর্যন্ত। রেলের টিকিটের সঙ্গে কার্যত কোনও তফাৎ ছিল না মেট্রোর টিকিটের।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। প্রতিটি স্টেশনে বসানো হয় টার্নস্টাইল গেট। ১৯৯৬ থেকে সব জায়গায় কার্যকর হয় সেই গেট। আর যাত্রীদের হাতে আসে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ টিকিট। ফরাসি সংস্থার তৈরি সেই গেট বদলে দেয় স্টেশনগুলোর চেহারা। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই যাতায়াত করেন যাত্রীরা।
২০১১ সালে আবার বদল ঘটে মেট্রোতে। ২০১১ সালে অটোমেটিক ফেয়ার কালেকশন অ্যান্ড প্যাসেঞ্জার কন্ট্রোল (AFC-PC) গেট। ২০১১ সাল থেকে স্মার্ট কার্ডের ব্যবহার আসে কলকাতা মেট্রোতে। একটি কার্ড কিনে নিলে, তা দিয়ে বেশ কয়েকবার যাতায়াত করা সম্ভব হত। ওই বছর থেকেই বাদ পড়ে ম্যাগনেটিক টিকিট। বদলে আসে স্মার্ট টোকেন। এর ফলে যাত্রীদের জন্য পরিষেবা আরও সহজ হয়।
এরপর নেট দুনিয়ায় প্রবেশ মেট্রোর। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয় অনলাইন রিচার্জ পদ্ধতি। স্মার্ট কার্ডে টপ আপ করার জন্য বা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আর লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ত না। বাড়িতে বসেই সেই কাজ করে নেওয়া যেত সহজেই।
২০২২-এ মেট্রে নিয়ে এসেছে ‘Metro Ride Kolkata’ নামে একটি অ্যাপ। স্মার্ট কার্ডে টাকা ভরার জন্য এই একটি অ্যাপই যথেষ্ট। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আসবে আরও পরিবর্তন। কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে ব্লু লাইন, গ্রিন লাইন ও পার্পল লাইনে মেট্রো চলাচল করে। খুব শীঘ্রই চালু হবে অরেঞ্জ লাইন (কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়)। এই ব্লু লাইন ও পার্পল লাইনে চালু হবে কিউআর কোড ভিত্তিক টিকিটের ব্যবস্থা। অর্থাৎ টিকিট কাটারই কোনও প্রয়োজন নেই। মোবাইলে আঙুল ছোঁয়ালেই যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।