ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে বাংলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একাধিক দল
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা একটি পরিকল্পনা করবেন। রাজ্যের কোন কোন জেলা তাঁরা ঘুরে দেখবেন, তার একটি রূপরেখা তৈরি করবেন তাঁরা।
কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একাধিক দল। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় যেতে পারেন দলের সদস্যরা। হাইকোর্টের নির্দেশেই রাজ্যে এসেছেন কমিশনের সদস্যরা। দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্য- ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ রাজেন্দ্র সিংহ, ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ মিসেস মুনিয়া উপ্পল, ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ জিন্টু সাকিয়া।
বুধবার রাতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল কলকাতায় এসে পৌঁছয়। বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার প্রেক্ষিতে ৩০ জুনের মধ্যে একটি রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। তার আগেই তাঁরা বাংলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখবেন। বিরোধীদের তরফ থেকে অভিযোগ উঠছে, এখনও ঘরছাড়ারা ফিরতে পারছেন না। বিভিন্ন জায়গায় মহিলারা নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে এফআইআরও নেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতেই এই দল এসেছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা একটি পরিকল্পনা করবেন। রাজ্যের কোন কোন জেলা তাঁরা ঘুরে দেখবেন, তার একটি রূপরেখা তৈরি করবেন তাঁরা। শুক্রবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ বিতর্কের মাঝে আপাতত দিল্লি সফর বাতিল শুভেন্দুর! জোর চর্চা
এপ্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, “রাজ্যে মহিলারা নির্যাতিত। তার প্রেক্ষিতে অভিযোগ করা হয় জাতীয় মহিলা কমিশনে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে এসেছেন প্রতিনিধিরা।” উল্লেখ্য, বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসাকে রীতিমতো ইস্যু করে জাতীয় স্তরে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার দিল্লি গিয়েছেন। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার প্রেক্ষিতে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পক্ষে সওয়াল তুলেছেন। একই ইস্যুতে বারবার রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। এর আগেও জাতীয় কমিশনের দল বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করেছে।