Sujan Chakraborty: সুজনের স্ত্রীর চাকরি কীভাবে? এখন শিক্ষামন্ত্রীর কোর্টে বল

CPIM: কুণাল বলেন, 'এই অভিযোগ সংক্রান্ত নথি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।'

Sujan Chakraborty: সুজনের স্ত্রীর চাকরি কীভাবে? এখন শিক্ষামন্ত্রীর কোর্টে বল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2023 | 6:17 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সাঁড়াশি চাপে রাজ্যের শাসক শিবির। একের পর এক গ্রেফতারিতে বাড়ছে অস্বস্তি। একদিকে ইডি-সিবিআই-এর কেন্দ্রীয় সংস্থা, অন্যদিকে বিরোধীদের খোঁচা… দুই সামাল দিতে হচ্ছে। এবার পাল্টা আক্রমণের পথে শাসক দল। বারবার বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, নিয়োগে দুর্নীতি ও বেনিয়ম কেবল তৃণমূল জমানায় নয়, অতীতে বাম জমানাতেও হয়েছিল। সরাসরি ব্যক্তি আক্রমণের পথে রাজ্যের শাসক শিবির। শুরুটা করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে। এবার তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও একটি চিরকুট পোস্ট করা হয়েছে। দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ় কলেজের অধ্যক্ষকে লেখা ওই চিরকুটের নীচে সই রয়েছে মিলি চক্রবর্তীর।

টুইটারে তৃণমূলের দাবি, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর স্ত্রী কোনওদিন কোনও পরীক্ষা দেননি। কিন্তু তিনি দীনবন্ধু অ্যান্ডুজ় কলেজে ৩৪ বছর ধরে কাজ করেছেন। ২০২১ সালে পর্যন্ত বেতন নিয়ে অবসর নিয়েছেন এবং এখনও পেনশন নিয়ে যাচ্ছেন। সিপিএম ক্ষমতা অপব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের।

এমনকী নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যাঁর সঙ্গে আপাতদৃষ্টিতে দল সাবধানী দূরত্ব বজায় রাখছে, সেই পার্থর মুখেও সুজন চক্রবর্তীর নাম। পার্থর প্রশ্ন, ‘সুজন চক্রবর্তী এত বড় বড় কথা বলছেন কীভাবে? ২০০৯-১০ সালে সুজন কী করছেন দেখুন।’

সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরির ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ দুটি কাগজ (সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর নিয়োগ সংক্রান্ত নথি বলে দাবি) দেখিয়ে বললেন, ‘তৃণমূল দল হিসেবে ব্যক্তি আক্রমণের পক্ষে নয়। কিন্তু যেভাবে টানা ব্যক্তি আক্রমণ চলেছে, তাই আমাদের রুচির বাইরে গিয়ে মানুষকে এগুলো বলতে হচ্ছে।’ কুণাল বলেন, ‘এই অভিযোগ সংক্রান্ত নথি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।’

সুজন চক্রবর্তী অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ২০০৯-১০ সাল সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে পাল্টা খোঁচাও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সেই সময় রাজ্যে বাম সরকার। সুজনবাবু বলেন, ‘ওনার সার্কিটটা পুরো কেটে গিয়েছে। ২০০৯ সালে নাকি আমি ডিওয়াইএফআই কর্মীদের চাকরির জন্য ওনার কাছে সুপারিশ করেছিলাম।’ এর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর চাকরির প্রসঙ্গ টেনে যে ব্যক্তিগত আক্রমণ টানা হচ্ছে, তাতেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না সুজন। সিপিএম নেতার বক্তব্য, অতীতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, গৌতম দেবের মতো বাম নেতাদের আক্রমণ করেও ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল। বললেন, ‘আমার পরিবারের বা আমাদের পার্টির কারও পরিবারের কে কোথায় কাজ করেন, সেই লিস্ট দিক। যাক, গিয়ে দেখে আসুক। আমরা যেভাবে থাকি, যেভাবে চলি, তা দেখলে তৃণমূলের নেতারা লজ্জা পাবে। আমরা যে ঠিক যায় ঢিল মেরেছি, তা বোঝা যাচ্ছে।’ সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, যাঁরা সুজনের নাম ব্যবহার করছেন, তাঁরা দলে নিজেদের দর বাড়ানোর জন্য এসব করছেন। সিপিএম নেতা বলছেন, ‘আমি জানি না ওরা তথ্য ঠিকঠাক বলছে কি না। বাম আমলে  নিয়োগের যাবতীয় তালিকার শ্বেতপত্র ওরা প্রকাশ করুক।’