AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kunal Ghosh-Adhir Chowdhury: আয়নায় মুখ দেখুন, মহুয়া-প্রশ্নে অধীরকে বিঁধলেন কুণাল, এক হাত নিলেন নওশাদ-শমীকও

Adhir Chowdhury: অধীরের এহেন মন্তব্যে কুণাল ঘোষ বলেন, "মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন। অধীর চৌধুরী নিজের দল নিয়ে মাথা ঘামান। আপনার দলের মধ্যে দুনিয়ার বিজেপির এজেন্ট, দালাল ঢুকে আছে। আত্মসমালোচনা করুন, আয়নায় মুখ দেখুন।"

Kunal Ghosh-Adhir Chowdhury: আয়নায় মুখ দেখুন, মহুয়া-প্রশ্নে অধীরকে বিঁধলেন কুণাল, এক হাত নিলেন নওশাদ-শমীকও
কুণাল ঘোষের খোঁচা অধীর চৌধুরীকে। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2023 | 8:29 PM
Share

কলকাতা: মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খোয়ানোর প্রতিবাদে সংসদে এবং সংসদের বাইরে সরব হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মহুয়ার পক্ষে অধীরের সওয়াল করা এবং মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সোনিয়ার প্রতিবাদ, সবটা দেখেছে গোটা দেশ। আর এই দৃশ্যে দুইয়ে দুইয়ে চার করেছে রাজনৈতিক মহলও। মহুয়া-ইস্যুকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া জোটের মাটি শক্ত হয়েছে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। তবে টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর চৌধুরী ‘ভুল ভাঙান’। স্পষ্ট বলেন, মহুয়ার পাশে দাঁড়ানো মানেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানো নয়। একইসঙ্গে তৃণমূলে মহুয়ার কদর কতটা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আর প্রদেশ সভাপতির এই বক্তব্য আরও একবার বঙ্গ রাজনীতিতে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে উস্কে দিয়েছে প্রশ্ন। অধীরের এই মন্তব্য বঙ্গ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে চর্চার শিখরে।

অধীরের এহেন মন্তব্যে কুণাল ঘোষ বলেন, “মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খুব স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন। অধীর চৌধুরী নিজের দল নিয়ে মাথা ঘামান। আপনার দলের মধ্যে দুনিয়ার বিজেপির এজেন্ট, দালাল ঢুকে আছে। আত্মসমালোচনা করুন, আয়নায় মুখ দেখুন।”

তবে বিজেপি অধীরের এই মন্তব্য নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়, এমনটাই বোঝাতে চাইছে। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অধীর চৌধুরী কার পাশে দাঁড়াচ্ছেন আর কার পাশে বসছেন তা দেখতে বাংলার মানুষও আগ্রহী নয়। কংগ্রেসকে এই মুহূর্তের অপ্রাসঙ্গিক শক্তি বলেই বর্ণনা করেন শমীক। শমীকের কথায়, “রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলছে আর দিল্লি গিয়ে নিজেদের নামীদামি উকিলদের দিয়ে তৃণমূলকে দুর্নীতি থেকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা করছে।”

অন্যদিকে নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্য, “অধীরবাবু এরকম অনেক কিছুই বলেন। নিজের আসনটার জন্য অধীরবাবু অনেক কিছুই ভাবছেন।” একইসঙ্গে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের দাবি, মহুয়াকে হয়ত ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল টিকিটই দেবে না।