Kunal Ghosh: ‘গণপিটুনি হালকা বিষয় নয়’, কেমন সে বিষয়, শোনালেন কুণাল ঘোষ
Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষের বক্তব্য, কোথাও মারামারি বা এই জাতীয় কিছু হলে, সেটাকেও বলে দেওয়া হচ্ছে গণপিটুনি। বিচ্ছিন্ন কিছু মারামারিও যাতে না হয়, সেটাও দেখা হচ্ছে। কেউ কারও উপর অরাজনৈতিক কোনও কারণেও যাতে দাদাগিরি না করে, সেটাও পুলিশ দেখছে। গণপিটুনি বিষয়টি এমন হালকাও নয়, বিষয়টি সর্বত্র ঘটছে, সেটা ভাবারও কোনও কারণ নেই।
কলকাতা: স্রেফ সন্দেহের বশেই সাম্প্রতিককালে একের পর এক মারধরের ঘটনা দেখা গিয়েছে। কখনও ছেলেধরা গুজবে, কখনও আবার অন্য কোনও কারণে। তবে এই ঘটনাগুলির সঙ্গে গণপিটুনির প্রবণতা বাড়ছে, এই ধরনের তত্ত্ব একেবারেই মানতে নারাজ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। রাজ্যের সাম্প্রতিক একের পর এক ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় কুণাল বলেন, “গণপিটুনি বাড়ছে, এই ধরনের কথা একদমই ঠিক নয়। এগুলি এক একটি মরশুমি শব্দ। সিপিএম আমলে সত্যিকারের গণপিটুনি হয়েছিল। গণপিটুনি কাকে বলে? সিপিএম জমানায় বিজন সেতুর উপর পরিকল্পনামাফিকভাবে গণপিটুনি হয়েছিল। ১৭ জন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে মেরে দেওয়া হয়েছিল। এটা হল গণপিটুনি।”
কুণাল ঘোষের বক্তব্য, কোথাও মারামারি বা এই জাতীয় কিছু হলে, সেটাকেও বলে দেওয়া হচ্ছে গণপিটুনি। বিচ্ছিন্ন কিছু মারামারিও যাতে না হয়, সেটাও দেখা হচ্ছে। কেউ কারও উপর অরাজনৈতিক কোনও কারণেও যাতে দাদাগিরি না করে, সেটাও পুলিশ দেখছে। গণপিটুনি বিষয়টি এমন হালকাও নয়, বিষয়টি সর্বত্র ঘটছে, সেটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। তবে একটা দুটো বিচ্ছিন্ন প্রবণতাও যাতে না দেখা যায়, সে বিষয়ে আমরা সকলকে সতর্ক করছি।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে রাজ্যে একের পর এক জায়গা থেকে গণপিটুনির অভিযোগ উঠে এসেছে। শুরু হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত থেকে। তারপর অশোকনগর, বনগাঁ, গাইঘাঁটা থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় এই ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছে।