কলকাতা : সাংসদদের সুপারিশে আর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করা যাবে না। যেকোনও ধরনের কোটায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিন সে সম্পর্কিত নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের তরফে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে এবার থেকে কোনও সুপারিশ ছাড়াই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে মেধাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এতদিন দেশের যেকোনও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে সাংসদ কোটায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো যেত। এরপর থেকে সেই নিয়মে কোনও শিক্ষার্থীকেই ভর্তি করা যাবে না। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বিদ্য়ালয় সংগঠনের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “পরবর্তী কোনও নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দিল্লির কেভিএস প্রধান দপ্তরের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় কোনও ভর্তি প্রক্রিয়া হবে না।” এক কেভিএস আধিকারিক জানিয়েছেন, জেনেরাল ক্যাটেগরিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে।
কেভিএস আধিকারিক জানিয়েছেন যে, বিশেষ ব্যবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ১৫-১৬ টি সিটে বিশেষ সুপারিশে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সাংসদ কোটা নয়। এই বিশেষ ব্যবস্থায় সাংসদের বাইরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারের চাকুরিজীবী, কেভিএস কর্মচারীরাও তাঁদের ছেলেমেয়েদের এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে পারেন। এর আগে যেকোনও সাংসদ এই কোটায় কোনও এক শিক্ষাবর্ষে দু’জন শিক্ষার্থীকে সুপারিশ করতে পারতেন। ২০১১ সালে এই সীমা বেড়ে হয় পাঁচ। ২০১২ সালে ছয় এবং ২০১৬ সালে তা বেড়ে হয়ে যায় ১০। যেকোনো শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষেত্রে এই সুপারিশের সংখ্যাটি আবার অনেক বেশি। কোনও শিক্ষামন্ত্রী কোনও এক অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য সুপারিশ করতে পারতেন। তবে তা এখন তুলে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Petrol Price : চৈত্রের শেষদিনে ‘বাম্পার সেল’, লিটার পিছু মাত্র ১ টাকায় পেট্রোল বিকোল ভারতের এই শহরে!