AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Local Train: বনগাঁ লোকালে সেই চেনা ভিড়! কিছু স্টেশনে ট্রেনে উঠতেই পারলেন না যাত্রীরা

Local Train Service Resumes: সোমবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে যে ছবি দেখা গেল, তা থেকে স্পষ্ট, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন পরিষেবা চালু রাখা কার্যত অসম্ভব।

Local Train: বনগাঁ লোকালে সেই চেনা ভিড়! কিছু স্টেশনে ট্রেনে উঠতেই পারলেন না যাত্রীরা
লোকাল ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড় (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2021 | 11:45 AM
Share

কলকাতা: সকালের ট্রেন মানেই তিল ধারণের জায়গা নেই। গেটের সামনে দাঁড়িয়েই কোনওরকমে গন্তব্য পৌঁছনোর চেষ্টা। লোকাল ট্রেন মানেই  ছবিই দেখতে অভ্যস্ত বাংলা। লোকাল ট্রেন (Local Train) পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার পর আজ সপ্তাহের প্রথম দিনেই সেই পরিচিত ছবিই দেখা গেল। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলার কথা। কিন্তু, সোমবার সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে যে ছবি দেখা গেল, তা থেকে স্পষ্ট, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন পরিষেবা চালু রাখা কার্যত অসম্ভব।

রেলের (Railway) পক্ষে কতটা সেই হিসেব রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। আধিকারিকদের একাংশই মেনেই নিয়েছিলেন যে ৫০ শতাংশ যাত্রীর হিসেব রাখা রেলের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সোমবার যাত্রী বা রেল কোনও তরফেই সেই প্রচেষ্টা দেখা গেল না। গতকাল রবিবার থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। রবিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও ভিড়ের কমতি ছিল না। আর আজ তো কাজের দিন, তাই কোনও নির্দেশিকার কথা মাথায় না রেখেই কর্মস্থলে পৌঁছতে ট্রেনে উঠলেন যাত্রীরা।

ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড় (নিজস্ব চিত্র)

চেনা ভিড়ের দেখা গেল বনগাঁ লোকাল। ভিড় কম থাকার কোনও পরিস্থিতিই নেই। প্রত্যেকটা ট্রেন চালু হলেও ভিড় রয়েছে একই। বিশেষ করে বনগাঁ থেকে মাঝেরহাট যাওয়ার লোকাল যা বরাবরই ভিড়ের ট্রেন হিসেবে পরিচিত সেই ট্রেনে আজ স্বাভাবিক নিয়মেই পা রাখার জায়গা নেই। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন, কী ভাবে করোনা বিধি মেনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব?

প্রশ্ন আগেই ছিল, ৫০ শতাংশ যাত্রী মাপবে কে? রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল আরপিএফ এবং জিআরপি দিয়ে নজরদারি চালানো হবে স্টেশনে স্টেশনে। কিন্তু তেমনটা চোখে পড়ল না। তারকেশ্বর স্টেশনের ছবি বলছে, সকাল থেকে ৫০ শতাংশ, ২০০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছুটছে তারকেশ্বর থেকে হাওড়া এবং তারকেশ্বর থেকে গোঘাট যাওয়ার ট্রেন। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই, নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। দেখে মনেই হবে না যে করোনার কোনও প্রভাব পড়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোথায় জিআরপি।

পা রাখার জায়গা নেই ট্রেনে (নিজস্ব চিত্র)

হিন্দমোটর স্টেশনে দেখা গেল, ট্রেনের বাদুড়ঝোলা ভিড়ে কিছু যাত্রী ট্রেনেই উঠতে পারলেন না। প্লাটফর্মে বসে থাকলেন পরবর্তী ট্রেনের অপেক্ষায়। নিত্যযাত্রীরা অবশ্য বলছেন তাঁরা খুশি ট্রেন সময়মত চলায়। তবে, যাত্রীদের মতে, কোভিড বিধি নিয়ে ট্রেন চালাতে গেলে ১২ বগি ট্রেনের প্রয়োজন। কারণ গন্তব্য সবাইকেই পৌঁছতে হবে।

উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত শিয়ালদা শাখার ৯২২ টি ট্রেনের মধ্যে ৬১০ থেকে ৬২০ টি ট্রেন চলছিল। অন্য দিকে, হাওড়া শাখায় ৪৮৮ টি ট্রেন চলার কথা। সেখানে ২৫৪ টি ট্রেন চলছিল। ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের আধিক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই ট্রেনের সংখ্যা  বাড়লে ভিড় কমবে, এমনটা আশা করছিলেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: ‘সবাইকে বাদ দেব এবার’, ‘দালাল’দের ছাঁটাইয়ের তালিকা বানাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ