Mamata Banerjee: পাহাড় নিয়ে বিবাদ! কথা ‘শুনছেন না’ শাহ, মোদীর কাছে নালিশ মমতার
Mamata Banerjee Writes to PM Modi: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। পাহাড়ের সমস্যা মেটানোর জন্য শাহের দফতর মাধ্যমে নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীকে নিয়ে সুর চড়াল রাজ্য। চিঠি পাঠাল মোদীর দফতরে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জিটিএ-র মধ্যস্থতাকারী হিসাবে প্রাক্তন আমলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলত এই বিশেষ পদ পাওয়ার 'খিদে' প্রাক্তন আমলাদের মনে কেন্দ্রের প্রতি আনুগত্য তৈরি করছে।

কলকাতা: ভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবিতে তৈরি হয়েছিল গোর্খাল্যান্ড। কিন্তু সেই গোর্খাল্য়ান্ড টেরিটোরিয়াল অ্য়াডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের বরাবর থেকেছে মধ্যস্থতার জায়গা। কিন্তু পাহাড়ের সেই মধ্যস্থতা ঘিরেই এবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বাঁধল কেন্দ্রের। দার্জিলিং, তরাই এবং ডুয়ার্সের গোর্খাদের সঙ্গে নানাবিধ বিষয় নিয়ে কথোপকথন চালানোর জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজকুমার সিংহকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু এই নিয়োগেই ‘আপত্তি’ রাজ্যের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চার পাতার চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কোথায় বিবাদ?
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। পাহাড়ের সমস্যা মেটানোর জন্য শাহের দফতর মাধ্যমে নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীকে নিয়ে সুর চড়াল রাজ্য। চিঠি পাঠাল মোদীর দফতরে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জিটিএ-র মধ্যস্থতাকারী হিসাবে প্রাক্তন আমলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলত এই বিশেষ পদ পাওয়ার ‘খিদে’ প্রাক্তন আমলাদের মনে কেন্দ্রের প্রতি আনুগত্য তৈরি করছে। পাশাপাশি, এই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাচ্ছে না স্বরাষ্ট্র দফতর।
এই ইস্যুতে গতমাসে মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই একই বিতর্কে ফের একবার সরব হতে হল রাজ্যকে। প্রায় ১ মাসের মাথায় নয়াদিল্লিতে চলে গেল আরও একটি সরকারি চিঠি। গতমাসের চিঠির কথা উল্লেখ করে মোদীর কাছে শাহের নামে নালিশ জানালেন মমতা। অভিযোগ তুললেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পরামর্শের নির্দেশের পরেও স্বরাষ্ট্র দফতর কোনও কথা শোনেনি। রাজ্য়ের সঙ্গে আলোচনায় যায়নি। উল্টে সেই প্রাক্তন আমলা কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। এটা বিস্ময়কর।’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে পাহাড়ের শান্তি এবং স্থিতাবস্থা নষ্ট হতে পারে।
অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো চিঠিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মোদীর দফতরে পাঠানো মমতার চিঠিকে ‘ফালতু’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, ‘এই চিঠির কোনও মূল্য নেই। আর ভারত সরকার যা করেছে, তা আইন বুঝেই করেছে। একজন আইপিএস তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন।’
