Mamata Banerjee on Congress: আক্রমণের জবাবে জয়রাম রমেশকে ধন্যবাদ মমতার, একাধিক রাজ্যে লড়াইয়ের কারণও ব্যাখ্যা করলেন

Mamata Banerjee on Congress: সোমবারই জয়রাম রমেশ টুইটে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলকে। বাইরনের দলবদলের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন গোয়া ও ত্রিপুরার প্রসঙ্গও।

Mamata Banerjee on Congress: আক্রমণের জবাবে জয়রাম রমেশকে ধন্যবাদ মমতার, একাধিক রাজ্যে লড়াইয়ের কারণও ব্যাখ্যা করলেন
কংগ্রেসকে জবাব মমতার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2023 | 11:31 PM

কলকাতা : ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কি বিরোধীরা জোট বাঁধছে? বাঁধলে কারা থাকবে সেই জোটে? এই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সমীকরণ নিয়েও। এরই মধ্যে বাইরন বিশ্বাসের দলবদলে ক্ষোভে ফুঁসছে কংগ্রেস। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। তবে সেই আবহেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বললেন, ‘জাতীয় স্তরে আমরা সবাই এক।’ রাজ্যস্তরে কেন পথ আলাদা? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জাতীয় দলের তকমার প্রসঙ্গও তুলেছেন।

সোমবারই জয়রাম রমেশ টুইটে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলকে। বাইরনের দলবদলের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন গোয়া ও ত্রিপুরার প্রসঙ্গও। তিনি দাবি করেছেন, এভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হলে, বিরোধী জোট পোক্ত হবে কীভাবে?

জয়রামের মন্তব্য প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “জাতীয় স্তরে আমরা সবাই এক। রাজ্য স্তরে সমস্ত দলকে বুঝতে হবে। রাজ্য স্তরে দলগুলির নিজেদের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা শুধু মেঘালয় এবং গোয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু যখন কংগ্রেস রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল, গুজরাত, ছত্তীসগঢ়ে ভোটে লড়েছে, তখন আমরা কোনওভাবে বাধা দিইনি। বরং, আমরা উল্টে সমর্থন করেছি। তাই আমি এই নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না।” জয়রামের আক্রমণের জবাবে তাঁকে ধন্যবাদও জানালেন মমতা। বলেন, “জয়রাম রমেশজি তৃণমূলের সম্পর্কে এইসব মন্তব্য করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। কেউ সমালোচনা করলে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”

মমতার যুক্তি, জাতীয় দলের তকমা বজায় রাখতেও অন্যান্য রাজ্যে ভোটে লড়ার প্রয়োজন পড়ে। অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে যে সেটা কংগ্রেসের বিরোধিতা করার জন্য নয়, সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “তোমরাই শুধু জাতীয় ফল হবে, বিজেপিই শুধু জাতীয় দল হবে, তা হতে পারে না। আমাদের দল চার-পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও জাতীয় দল নয়। এটা শুধু আসন দিয়ে বিচার হয় না, ভোট শতাংশও দিয়েও বিচার হয়। আমি তো চাই তিন চার জায়গায় আমার দল থাকুক যাতে আমাদের জাতীয় দলের মর্যাদাও থাকে।”

মমতার দাবি, নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের সঙ্গে অন্যায় করেছে। ২০২৬ পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও, তার আগেই জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক নয়।

উল্লেখ্য, এর আগে সরাসরি না বললেও বারবার তৃণমূল বুঝিয়ে দিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে তারা থাকছে না। আর এখন মমতা বলছেন, জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন তাঁরা। সময়ের সঙ্গে কি নরম হচ্ছে সুর? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট করার ক্ষেত্রেও কংগ্রেস-তৃণমূলকে পাশাপাশি থাকতেই দেখা গিয়েছে।