ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি মানুষ, শুক্রবারই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী

ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তবে যাঁরা নদীর পাশে থাকেন, তাঁদের সতর্কতা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত ১ কোটি মানুষ, শুক্রবারই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 26, 2021 | 2:47 PM

কলকাতা: সাই্ক্লোন ইয়াস-এর (Cyclone Yaas) ল্যান্ডফল শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ রাজ্যে মূলত দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রভাব পড়েছে সেই ঝড়ের। তবে বিপদ এখনও শেষ হয়নি। ফের একবার সেই বিষয়ে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার দুপুরে নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ‘হাই টাইড’-এর সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার জেরে যে বান আসবে, তাতে জলস্তর ৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হবে। সেই জলস্তর দু’দিন ধরে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একজনের মৃত্যুর খবরও জানিয়েছেন মমতা। তবে সেটা ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ’ বা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে্ উল্লেখ করেছেন তিনি। সার্বিক হিসেব দিয়ে মমতা জানান, ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আগামী শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরে যাবেন তিনি।

ভরা কোটালের জন্যই আজ সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মমতা। তিনি জানান, আগজ রাত ৮ টা ৪৫ পর্যন্ত জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে। ফলে, রাতের দিকে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে পারে। তাই বাইরে না বেরনোর জন্য বারবার সতর্ক করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বান এলে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক অংশে জলস্তর বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন মমতা। কালীঘাট, রাসবিহারী, চেতলা অথবা গঙ্গার কাছাকাছি এলাকাগুলিতে আগামিকাল জল ঢুকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েও জলস্তর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি সতর্ক করেছেন দীঘা, মন্দরমণি, নন্দীগ্রামের মতো পূর্ব মেদিনীপুরের এলাকাগুলি নিয়েও।

আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় চন্দ্রগ্রহণ, রাত ৯টায় ফের কোটাল! পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দিঘা-সাগরে

গত কাল পর্যন্ত সাড়ে ১১ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন মমতা। আজ তিনি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ১৪ লক্ষ ৪ হাজার ৫০৬ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১০ কোটি টাকার ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের ধন্যবাদও দেন মমতা। আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষিকাজের। তাই সে দিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।