AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mamata Vs Himanta: বাঙালি অস্মিতায় ধার দিতে মমতার হাতিয়ার এবার অসমও, পাল্টা হিমন্ত বললেন, ‘মুসলিম অনুপ্রবেশের’ কথা

Mamata Vs Himanta: এরপরেই অসম সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতার দাবি, ওই রাজ্যের বিজেপি সমস্ত সীমা পার করে দিয়েছে। মমতার কথায়, 'আমি সেই প্রতিটা মানুষের পাশে রয়েছি, যারা নিজেদের জাতিসত্ত্বার জন্য লড়াই চালাচ্ছে।'

Mamata Vs Himanta: বাঙালি অস্মিতায় ধার দিতে মমতার হাতিয়ার এবার অসমও, পাল্টা হিমন্ত বললেন, 'মুসলিম অনুপ্রবেশের' কথা
মমতা বনাম হিমন্তImage Credit: PTI
| Updated on: Jul 19, 2025 | 7:28 PM
Share

কলকাতা: বাঙালি অস্মিতা বনাম বাঙালি অস্মিতা। মুখ্যমন্ত্রীর সমাজমাধ্যমে করা পোস্ট ধরে হিমন্ত স্মরণ করলেন ‘হিন্দু ডেমোগ্রাফির’ কথা। যে ডেমোগ্রাফি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামার দিন স্মরণ করেছিলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ডেমোগ্রাফি স্মরণ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রীও।

এদিন নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘এই দেশে বলা আঞ্চলিক ভাষাগুলির মধ্যে বাংলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এই একই ছবি কিন্তু অসমের ক্ষেত্রেও। কিন্তু শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করা সেই নাগরিকগুলিকেই আজ নিজেদের মাতৃভাষা নিয়ে বৈষম্যের মুখে পড়তে হচ্ছে।’

এরপরেই অসম সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতার দাবি, ওই রাজ্যের বিজেপি সমস্ত সীমা পার করে দিয়েছে। মমতার কথায়, ‘আমি সেই প্রতিটা মানুষের পাশে রয়েছি, যারা নিজেদের জাতিসত্ত্বার জন্য লড়াই চালাচ্ছে।’

তাদের সরকারের বিরুদ্ধে ‘বাঙালি অস্মিতায় আঘাত’ আনার অভিযোগকে একেবারে নস্য়াৎ করে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এক্স মাধ্যমে মমতার করা পোস্টকে উল্লেখ করে বা সমাজমাধ্যমের পরিভাষায় ‘রি-পোস্ট’ করে তিনি লিখেছেন, ‘অসমে আমরা কেউ একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছি না। আমরা শুধুমাত্র প্রতি মুহূর্তে চলা মুসলিম অনুপ্রবেশকে রুখতেই লড়াইয়ে নেমেছি। এই অনুপ্রবেশের ফলে রাজ্যের ডেমোগ্রাফিতে একেবারে বদলে গিয়েছে। নিজ ভূমিতেই হিন্দুরা পরিণত হয়েছে সংখ্যালঘুতে।’

তাঁর সংযোজন, ‘এই মন্তব্য কোনও ভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। এটা বাস্তব। সুপ্রিম কোর্টও যার কথা বলেছে। কিন্তু আমরা যখন নিজ ভূমিকেই বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছি, তখনই এই অভিযানকে রাজনৈতিক রূপ প্রদান করা হচ্ছে। আমরা কখনও মানুষকে তার ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ করিনি। সব ভাষাভাষির মানুষই এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করেন। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের সীমান্তকে রক্ষা করতে না পারি, এই শান্তি বিঘ্নিত হবে।’

এরপরেই মমতার বিরুদ্ধে তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে হিমন্তের দাবি, ‘আমরা যখন অসমের সংস্কৃতিকে রক্ষার চেষ্টা করছি, দিদি তখন বাংলার ভবিষ্যৎ নিয়ে সমঝোতা করে বসেছেন। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য একটি সম্প্রদায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।’