কলকাতা : সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে তৃণমূলের যা ফলাফল তাতে নতুন করে কোনও উদ্বেগ থাকার কথা নয় ঘাসফুল শিবিরের। তবে পুরভোটেও যাতে সেই ট্রেন্ড বজায় থাকে তার জন্য সব রকমের চেষ্টা করছে দলীয় নেতৃত্ব। ১৪৪ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী বাছাই হওয়ার পর প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই, তবে পুরভোট বলে মোটেই কম গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তাই পুরভোটের প্রচারেও ময়দানে নামবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই দিনে পরপর দুটি সভা করবেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রের খবর আগামী ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ পুরভোটের প্রচারে শেষ দিনে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই পরপর দুটি সভা রয়েছে তাঁর। প্রথম সভাটি করবেন বাঘাযতীন যুব সংঘের মাঠে। যাদবপুর ও বাঘাযতীন সংলগ্ন এলাকার ওয়ার্ড গুলির জন্য প্রচার করবেন তিনি। দ্বিতীয় সভাটি রয়েছে বেহালায়। বেহালা সংলগ্ন এলাকায় প্রচার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিকে শনিবারই পুরভোটের স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে বৈঠকে বসেছে তৃণমূল। ১৪৪ জন প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠকে বসছে দলীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে প্রার্থীরা ছাড়াও থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। পুরভোটের কর্মসূচিতে যেন কোনও ফাঁক না থাকে, সেদিকে নজর দেবেন নেতারা। বেশ কিছু জায়গায় প্রার্থী নিয়ে সমস্যা হয়েছে, কোথাও কোথাও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবরও সামনে এসেছে। সেইদিক গুলোতেই নজর দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির।
উল্লেখ্য, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিদ্রোহ হয়েছে অনেক জায়গায়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড ৭৩ নম্বরেও সেই আঁচ পৌঁছেছিল। পরে সেখানে বিদ্রোহের আঁচ স্তিমিত হয় কিছুটা। ওই ওয়ার্ডেই কাউন্সিলর ছিলেন রতন মালাকার। দীর্ঘদিন ধরে সেই পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এবার তালিকা থেকে বাদ পড়েন রতন মালাকার। দলীয় সূত্রে খবর, সংগঠন সম্পর্কে ধ্যান ধারনা খুব বেশি ছিল না রতন মালাকারের। দলের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভও ছিল বলে শোনা যায়। তাই সম্ভবত এবার বাদ পড়লেন তিনি। আর সেই জায়গায় টিকিট পান মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়া ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়।
তালিকায় নিজের নাম দেখতে না পেয়ে ‘অভিমানে’ নির্দল হিসেবে প্রার্থী পদের জন্য নমিনেশন জমা দিয়েছিলেন রতন। অবশেষে তিনি সেই নমিনেশন প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : Cyclone Jawad: রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, বন্ধ হুগলির একাধিক ফেরিঘাট
রতন মালাকার খোদ টেলিফোনে TV9 বাংলাকে জানান, “নিজের ইচ্ছেয় প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করলাম। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। যেদিন আমি দেখেছি আমার নাম নেই, আমার সেদিন কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি তৃণমূলে রয়েছি, ছিলাম, থাকব।”
আরও পড়ুন : Crime News: বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল প্রেমিকা, রাস্তা থেকে সরাতে চরম পদক্ষেপ প্রেমিকের