কলকাতা ও বর্ধমান: বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ। বছরের শেষে নির্জলা অনশন শুরু করেছেন বর্ধমান জেলে বন্দি অর্ণব দাম। সোমবার সকাল থেকে অনশন শুরু করেছেন শিলদাকাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া অর্ণব। এই নিয়ে সরব হল মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর।
মাওবাদী বন্দি অর্ণবের অভিযোগ, গত দুই দফা অনশনের সময়ে তাঁকে প্যারোলে ছাড়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারপর অনশন ভাঙেন তিনি। সোনারপুরের সুভাষগ্রামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দফায় দফায় পুলিশি তদন্ত হয়েছে। বাড়ি গিয়ে কোন ঘরে উঠবে, তার ভিডিয়ো তুলে আনা হয়েছে। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। পুলিশ জানতে চেয়েছে, অর্ণব এলে তাদের আপত্তি আছে নাকি। স্থানীয় কাউন্সিলরেরও মতামত নিয়েছে। কেউই আপত্তি জানায়নি বলে তারা জেনেছে বলে জানাল মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর।
মানবাধিকার সংগঠনের বক্তব্য, কারও কোনও আপত্তি না থাকা সত্ত্বেও জেল প্রশাসন তাঁকে প্যারোল দিচ্ছে না। পুজোর সময় থেকেই প্যারোল চাইছেন অর্ণব। তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য অন্তত একদিনের প্যারোলের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। দুই দফায় আবেদনের পর এটা তৃতীয় দফা। এর আগে অনশনের জেরে দুর্বল হয়ে পড়ায় জেলের মধ্যে পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হয়ে যায় অর্ণবের। পিএইচডি-র ক্লাসও করা হচ্ছিল না তাঁর। এবার নির্জলা অনশন শুরু করেছেন।
এপিডিআরের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার উপর নির্জলা অনশনের কারণে অর্ণব ইতিধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। মাথা ঘোরাচ্ছে। জেল প্রশাসন তাঁর প্রতি উদাসীনতা দেখাচ্ছে। তাঁর মেডিক্যাল চেকআপও করেনি। গোটা বিষয় নিয়ে কারা দফতরের ইতিবাচক পদক্ষেপ দাবি করেছে তারা। তাদের বক্তব্য, নতুন বছরে যেন আর অনশন না করতে হয়। যেন প্যারোল পান অর্ণব।