Matua in WB: ‘মতুয়ারা তো স্বঘোষিত অনুপ্রবেশকারী’, বিস্ফোরক প্রাক্তন সাংসদ
SIR in Bengal: সআইআর আবহে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুরের শিবির। আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিলেন মমতাবালা। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর বলছেন, এসআইআরে নাম না থাকলে মতুয়াদের জন্য সিএএ-র রাস্তা খোলা থাকছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর-বিতর্কের অন্ত নেই।

কলকাতা: বিজেপি শুরু থেকেই দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। এসআইআর শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সামনে এসেছে, বেশ কিছু ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশিরা সীমান্তের দিকে ভিড় বাড়াচ্ছেন। দীর্ঘদিন বসবাস করার পর এসআইআরের নাম শুনে বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছেন, এমন লোকজনের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এভাবে অনুপ্রবেশ আটকানো সম্ভব নয় বলেই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জহর সরকার।
TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জহর সরকার বলেন, “অনুপ্রবেশ বিশ্বে কেউ কখনও আটকাতে পারেনি। সংলগ্ন দেশে এমনটা হবে। কিছু করার নেই।” আমেরিকাতেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ রাজ্যে বসবাসকারী মতুয়াদের নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জহর সরকার বলেন, “বিজেপিকে প্রশ্ন করব। মতুয়াদের কী হবে। তারা তো স্বঘোষিত অনুপ্রবেশকারী। অনুপ্রবেশকারীদের ভোটে তাহলে বিজেপি জিতছে।”
উল্লেখ্য, এসআইআর আবহে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুরের শিবির। আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিলেন মমতাবালা। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর বলছেন, এসআইআরে নাম না থাকলে মতুয়াদের জন্য সিএএ-র রাস্তা খোলা থাকছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর-বিতর্কের অন্ত নেই। আপাতত সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ভরসাতেই বসে রয়েছেন মতুয়ারা। অন্যদিকে, তৃণমূল বলছে, “আমরা মতুয়াদের পাশে আছি।”
