Kunal Ghosh: বাম আমলেও হয়তো কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে: কুনাল ঘোষ

Kunal Ghosh on recruitment scam at Left regime: বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতিতেও ছিল 'টাকার খেলা'। এমনই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষের।

Kunal Ghosh: বাম আমলেও হয়তো কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে: কুনাল ঘোষ
বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতিতে 'টাকার খেলা' নিয়ে সরব কুনাল ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2023 | 7:43 PM

কলকাতা: বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতিতেও ছিল ‘টাকার খেলা’। তদন্ত করলে দেখা হয়ত দেখা যাবে সেই আমলেও কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ), এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তাঁর দাবি, সোজা পথে নাহলেও ঘুর পথে টাকার বিনিময়েই নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম করা হয়েছে। সিপিআইএম নেতাদের মুখেই টাকা নেওয়ার বিভিন্ন পন্থার কথা শোনা গিয়েছে। কুনাল জানান, শুধুমাত্র ২০০৯ সালের রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে, বাম আমলে নিয়োগ সংক্রান্ত ৪৬,০০০ দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে ৩২,০০০ জনের নম্বর বাড়ানো হয়েছে। ১৩০০০ জনের নম্বর কমানো হয়েছে। আর এই ভাবে ঠিক কত কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, সেটাই তৃণমূল সরকার তদন্ত করে দেখতে চাইছে বলে জানান তিনি।

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। টেট-এসএসসি কেলেঙ্কারির তদন্তে একের পর এক শাসক দলের নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হচ্ছেন। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর মধ্যেই এবার বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। চিরকুটে চাকরি, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর সুপারিশে নিয়োগের মতো একের পর এক অভিযোগ নিয়ে বামেদের আক্রমণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩৪ বছরের বাম শাসনে দুর্নীতি খুঁজে বের করতে মরিয়া তারা। এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছেন, বাম আমলেও নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু টাকা নেওয়া হতো না। তার বদলে চাকরি যাঁরা পেতেন, তাঁদের পার্টিকে সময় দিতে হত। সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য নিয়েই কুনাল ঘোষ বলেছেন, বাম আমলের নিয়োগ অনিয়মে কোনও টাকার খেলা ছিল না, এটা ঠিক নয়।

কুনাল ঘোষের মতে, বাম আমলে প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে টাকা নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বেঙ্গল ল্যাম্প দুর্নীতির প্রসঙ্গ টানেন। কুনাল ঘোষ অভিযোগ করেন, নিজের ছেলের কারণে বেঙ্গল ল্যাম্প সংস্থাকে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন বামেদেরই মন্ত্রী যতীন চক্রবর্তী। যার জেরে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। কুনাল ঘোষের দাবি, বাম আমলের এই দুর্নীতি কয়েক বছর ধরে হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি দেখা যায়, এই কয়েক বছরে উপযুক্ত প্রার্থীদের বঞ্চিত করে লক্ষ লক্ষ লোককে অনৈতিকভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাহলে এই ব্যক্তিরা দলকে যে লেভি দিয়েছেন, তাতেই ঘুরপথে টাকা ঢুকেছে সিপিআইএম-এর ঘরে। ফলে টাকার খেলা যে হয়নি, এই কথাটা এইভাবে বলা যায় না। এই কারণেই আমরা তদন্ত চাইছি। সেক্ষেত্রে হয়তো দেখা যাবে তৎকালীন জমানাতেও কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আমরা এই কারণেই তদন্ত চাইছি।”

কুনাল ঘোষ আরও বলেছেন, “অনেকেই বলছেন এতদিন কেন বলেননি, এতদিন কেন তদন্ত হয়নি। এতদিন কেন ব্যবস্থা নেননি। তার কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। ২০১১ সাল থেকে সরকার মূলত মানুষের কাজ আরও ভাল করে কীকরে করা যায়, সেই দিকে মনোযোগ দিয়েছিল। ফলে তখন আমরা এই বিষয়গুলির দিকে তাকাইনি। বামেরা যদি ক্রমশ কুৎসা করতে করতে সীমা অতিক্রম করে যান, তখন দেখিয়ে দিতে হচ্ছে যে, আপনারা কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়ছেন।”