Model’s Mysterious Death: বিদিশার সঙ্গে কীভাবে পরিচয়, আদৌ কি শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল? অনুভবের থেকে জানতে তৎপর তদন্তকারী

Model’s Mysterious Death: মূলত তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে চাইছেন, মডেল বিদিশা দে মজুমদার সঙ্গে তাঁর কীভাবে পরিচয়, কতদিন ধরে পরিচয়, সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণ।

Model’s Mysterious Death: বিদিশার সঙ্গে কীভাবে পরিচয়,  আদৌ কি শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল? অনুভবের থেকে জানতে তৎপর তদন্তকারী
বিদিশার মৃত্যুতে অনুভবের ভূমিকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2022 | 2:40 PM

কলকাতা: বিদিশা দে’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে নাগেরবাজার পুলিশের হাতে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিদিশার পুরুষসঙ্গী অনুভব বেরা পেশায় জিম ট্রেনার। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ব্যারাকপুর কমিশনের ডিসি অফিসে।

মূলত তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে চাইছেন, মডেল বিদিশা দে মজুমদার সঙ্গে তাঁর কীভাবে পরিচয়, কতদিন ধরে পরিচয়, সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণ। বিদিশা দে মজুমদার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিদিশার বন্ধু। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে অনুভবকে।

তদন্তকারীরা বিদিশার মোবাইল ঘেঁটে জানতে পেরেছেন, মঙ্গলবার ভোর চারটে পর্যন্ত ফোনে কথা বলেছেন তিনি। কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কী বলেছিলেন, সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, বান্ধবী দিয়া দাসের সঙ্গে আগের রাতেও হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করে বিদিশা। সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন দিয়া। তাতে উঠে আসতে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের কথা। উঠে আসছে অনুভবের নাম। যিনি পেশায় জিমের প্রশিক্ষক। জানা যাচ্ছে, মেদিনীপুর শহরে দুটি জিমে তাঁর যাতায়াত রয়েছে। তাঁর খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। অনুভব আদৌ ওই দুটি জিমের মালিক কিনা, সেটাও স্পষ্ট নয়। হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের পরতে পরতে বিদিশা তাঁর সম্পর্ক নিয়ে অবসাদের কথা জানিয়েছিলেন।

মাস দুয়েক আগেই কাঁকিনাড়ার বাড়ি থেকে নাগেরবাজারের রামগড়ের ভাড়া বাড়িতে আসেন বিদিশা। তিনি স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মডেলিং করতেন। স্বপ্ন ছিল সুপরিচিত হওয়ায়। বোনকেও জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দু’মাসের মধ্যেই জীবনে এমন কী ঘটল বিদিশার জীবনে, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

বুধবার নাগেরবাজারের একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তিন পাতার সুইসাইড নোটের পরতে পরতে মানসিক অবসাদের কথা উল্লেখ রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদিশার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ অনেকটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।