Government Bus: বাংলার মানচিত্র থেকে উধাও ১০০-র বেশি রুট! এবার জাদুঘরে পাওয়া যাবে সরকারি বাস?
Government Bus: তথ্য বলছে, বছরখানেক আগে দৈনিক গড়ে ২,৫০০টি সরকারি বাস চলত। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক গড়ে ৭০০টি। ক্রমশ কমতে কমতে কোথায় পৌঁছবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবহণ দফতরের কর্মীরাই।
কলকাতা: কমছে বাস, কমছে রুট! সরকারি বাস রুট কমতে কমতে এখন তলানিতে। সুস্পষ্ট পরিবহণ নীতির অভাব এবং রক্ষণাবেক্ষণে হাজারো গাফিলতিতে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ বেসরকারি রুটের বাসগুলিই এখন পরিবহন দফতরের গলার কাঁটা। যারপরনাই বাসের সঙ্কটে ভুগছে শহর থেকে শহরতলি। এই সঙ্কট আরও তীব্র আকার নিচ্ছে একের পর এক সরকারি বাস রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায়।
সরকারি বাসরুটগুলিতে কঙ্কালসার চেহারা দিনের পর দিন প্রকাশ্যে চলে আসছে। চেনা পরিচিত সরকারি বাস রুট গুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হয় বাসের আকালের জন্য অথবা নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে। খোদ পরিবহন দফতরের তথ্য বলছে, গত ৭ থেকে ৮ বছরে শহর থেকে শহরতলিতে প্রায় ১০০টির বেশি পরিচিতি সরকারি বাস রুটগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এছাড়াও তথ্য বলছে, বছরখানেক আগে দৈনিক গড়ে ২,৫০০টি সরকারি বাস চলত। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক গড়ে ৭০০টি। ক্রমশ কমতে কমতে কোথায় পৌঁছবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবহণ দফতরের কর্মীরাই। পরিবহন দফতর জানাচ্ছে, বৈদ্যুতিক চালিত এবং ব্যাটারি চালিত সরকারি বাস গত দু’বছরে একাধিক নেমেছে। কিন্তু তা যে চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম সেটাও স্বীকার করছেন পরিবহন দফতরের কর্তারা। পরিবহন মন্ত্রী সাফাই দিচ্ছেন, বিএস- ৬ এর বাস শীঘ্রই রাস্তায় নামবে। তখন সঙ্কট থাকবে না। কিন্তু বাস্তব বলছে অন্য কথা।
এই খবরটিও পড়ুন
পর্যাপ্ত চালকের অভাব, প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে একাধিক বাসের দৈন্যদশা এবং বিদ্যুৎ বা সিএনজি চালিত বাসগুলিকে নিয়ে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়া, এই ধরনের একাধিক বিষয় সরকারি বাস রুটগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পিছনে রয়েছে বলেই মনে করছেন পরিবহন দফতরের শীর্ষকর্তাদের একাংশ।
সূত্রের খবর, বসে যাওয়া সরকারি বাসগুলিকে হাতিয়ার করে লাভ ঘরে তুলতে বিভিন্ন বেসরকারি রুটের বাস মালিকদের সেগুলিকে ছ’মাসের জন্য লিজে দেওয়া হয়। কিন্তু, লিজ বাবদ যে টাকা বেসরকারি বাসের মালিকদের মাসপিছু দেওয়ার কথা পরিবহন দফতরকে, সেটা এতটাই মাত্রাতিরিক্ত, যে গোটা ভাবনাই এখন ব্যর্থ হওয়ার পথে। এখন দেখার সমস্যার সমাধান শেষ পর্যন্ত হয় কোন পথে।