Dengue Update: শহরে ডেঙ্গি আতঙ্ক, ভবানী ভবনেও মিলল মশার লার্ভা

Dengue Update: শহরে প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত হয়েছেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনারও।

Dengue Update: শহরে ডেঙ্গি আতঙ্ক, ভবানী ভবনেও মিলল মশার লার্ভা
ভবানীভবনে মশার লার্ভা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2022 | 11:33 AM

কলকাতা : শুধুমাত্র কলকাতা নয়, সারা রাজ্যেই ডেঙ্গির প্রকোপ গত কয়েকদিনে উদ্বেগ তৈরি করেছে। প্রতিদিন ৫০০-র বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে সচেতন করা হলেও শহরের বহু জায়গায় এখনও খোঁজ মিলছে মশার লার্ভার। রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনেও এবার মিলল মশার লার্ভা। এই এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এলাকায় পুর কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয় না।

শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ভবানী ভবন চত্বরে অনেক জায়গায় জমে রয়েছে জল। সেই জলেই রয়েছে মশার লার্ভা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। এটি কলকাতা পুরনিগমের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এ ব্যাপারে ৭৪ নম্বরের পুর প্রতিনিধি দেবলীনা বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও, তা সম্ভব হয়নি।

ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও কলকাতার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও দার্জিলিং-এর পরিস্থিতিও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ তারক সিং-এর বাড়িতেও মিলেছে জমা জল। সেখানেও পাওয়া গিয়েছে ডেঙ্গির লার্ভা। সে কারণেই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তিনি টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাসিন্দা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতা তথা রাজ্যে ডেং-২-এর প্রকোপ বেড়েছে, এটি নাকি  ডেঙ্গির চারটি স্ট্রেনের মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে অন্তত ২০ শতাংশ  ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরেই এই স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে বলে সূত্রের খবর।

উদ্বেগ এতটাই বেড়েছে যে রাজ্যের সব ক’টি পুরসভা ও পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী এবং আধিকারিকদের পুজোর ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে। ডেঙ্গির জন্য যে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে, পুজোর কয়েকদিনে যাতে কোনও খামতি না হয়, সে দিকে নজর দিচ্ছে রাজ্য। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।