Bangladesh: জানত না সে এটাই শেষ খাওয়া…বাংলাদেশে একইদিনে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে খুন দুজনকে!

Mob Lynching: এক যুবক মাঠে এলে তাঁকেই চোর সন্দেহে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিকক্ষে নিয়ে গিয়ে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। যুবক বারবার জানায়, সে কিছুই জানে না। এরপর ওই যুবককে ক্যান্টিনে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। তারপর আবার মারধর শুরু করা হয়।

Bangladesh: জানত না সে এটাই শেষ খাওয়া...বাংলাদেশে একইদিনে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে খুন দুজনকে!
পিটিয়ে মারার আগে ভাত খাওয়ানো হয় যুবককে।Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Sep 20, 2024 | 7:45 AM

ঢাকা: এবার নতুন অশান্তি। উঠল পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। তাও আবার একসঙ্গে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে! বাংলাদেশের ঢাকা ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। একদিকে যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে মেরে ফেলা হয়, অন্যদিকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র লীগের এক নেতাকেও মারধর করে মেরে ফেলা হয়। একইদিনে ঘটা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে নৃশংসভাবে মারধরের ভিডিয়ো।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফজলুল হক মুসলিম হলের মাঠে খেলা চলছিল। সেই সময় কয়েকজন ছাত্রের মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি হয়। তোফাজ্জল হোসেন নামক এক যুবক মাঠে এলে তাঁকেই চোর সন্দেহে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিকক্ষে নিয়ে গিয়ে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। যুবক বারবার জানায়, সে কিছুই জানে না। এরপর ওই যুবককে ক্যান্টিনে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। তারপর আবার মারধর শুরু করা হয়।

রাত ১০টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খবর পেয়ে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৬ জন আবাসিক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও ৭ সদস্য়ের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

অন্যদিকে,  জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্র লীগের নেতাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বায়ক ও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া জড়িত বলেই জানা গিয়েছে।

এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক প্রাক্তন নেতাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ শুরু হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষই বিচারের নামে রক্তে হাত রাঙাচ্ছে। প্রশাসনের তরফে একাধিকবার আইন হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলেও, তাতে বিশেষ লাভ হয়নি।