তুমুল হাতাহাতি, টানাপোড়েনের মাঝেই গ্রেফতার দক্ষিণ কোরিয়ার গদিচ্যুত প্রেসিডেন্ট
South Korea: ডিসেম্বর মাসে আচমকাই মার্শাল ল ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইওল। দেশজুড়ে জারি হয় জরুরি অবস্থা। ইওলের দাবি ছিল, সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কিন্তু প্রতিবাদের মুখে পড়ে, তা ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রত্যাহার করতে হয়।
সিওল: একটা ভুল সিদ্ধান্ত, তার চরম মাশুল দিতে হল দক্ষিণ কোরিয়ার পদচ্যুত প্রেসিডেন্টকে। গ্রেফতার ইয়ন সুক ইওল। মার্শাল ল ঘোষণার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইওল-ই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে গ্রেফতার করা হল।
জানা গিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর ঘণ্টাখানেকের জন্য মার্শাল ল জারি করা এবং তার জেরে দেশে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল, তার জন্যই প্রশাসনের তরফে গদিচ্যুত প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ ও তদন্তকারীরা ইয়ন সুক ইওল-কে গ্রেফতার করেছে। সেন্ট্রাল সিওলে তাঁর বাড়িতে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট নিয়ে আসে। তাঁকে কনভয় করে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারি রুখতে হাজার হাজার সমর্থক তাঁর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিল। তাদের সরিয়েই ৩ হাজার পুলিশ নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকে তদন্তকারীরা এবং ইওলকে গ্রেফতার করে।
বিগত বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপে থাকছিলেন। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, ইওলকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে জনসমক্ষে অপমান করার জন্য। বুধবারই ইওলের আইনজীবী জানান, তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি তিনি। নিজেই হাজিরা দেবেন।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারিও গদিচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইওলকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক টানাপোড়েনের পর তদন্তকারীদের খালি হাতেই ফিরতে হয়।
ডিসেম্বর মাসে আচমকাই মার্শাল ল ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইওল। দেশজুড়ে জারি হয় জরুরি অবস্থা। ইওলের দাবি ছিল, সরকার ফেলার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কিন্তু প্রতিবাদের মুখে পড়ে, তা ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রত্যাহার করতে হয়। রাজনৈতিক উথালপাতালের মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।