AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মুচিপাড়াকাণ্ড: ‘জনপ্রিয়’ নেতা সজলের গ্রেফতারিতে বাড়ির সামনে প্রতিবাদী মুখের ভিড়! এবার আদালতের দ্বারস্থ স্ত্রী

Muchipara Case; শুক্রবার রাতে রীতিমতো হিন্দি সিরিয়ালের মতো বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মুচিপাড়াকাণ্ড: 'জনপ্রিয়' নেতা সজলের গ্রেফতারিতে বাড়ির সামনে প্রতিবাদী মুখের ভিড়! এবার আদালতের দ্বারস্থ স্ত্রী
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 12:34 PM
Share

কলকাতা: মুচিপাড়ায় (Muchipara Case) ক্লাব ভাঙচুর, অতঃপর বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নাটকীয় গ্রেফতারির রেশে আজ উত্তপ্ত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। সকাল থেকেই সজল ঘোষের অনুগামী তথা বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন। বাড়ির চতুর্দিকে পড়েছে বড় বড় ব্যানার। মিথ্যা মামলায় সজল ঘোষকে গ্রেফতার কেনো, মুচিপাড়া পুলিশ জবাব দাও, ব্যানারে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির।

অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ও নিরাপত্তার খাতিরে শুক্রবারই মুচিপাড়া থানা থেকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত সজল ঘোষকে। আজ, শনিবার ধৃত বিজেপি নেতারে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। বিজেপি কর্মীরা শনিবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে আদালতের সামনে যাবেন। সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের।

এদিন ছেলের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মুখ খোলেন প্রবীণ নেতা প্রদীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “আমার ছেলে কতটা জনপ্রিয়, সেকথা নিজের মুখে বলব না। মানুষের উপস্থিতিই বলে দিচ্ছে। খুব বাজে ভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল আমার ছেলেকে। এর প্রতিকার চাই। মানুষ এর জবাব চাইছে।”

অন্যদিকে, আজই মুচিপাড়ায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে যান সজল ঘোষের স্ত্রী তানিয়া। তাঁর দাবি, শুক্রবার অত্যন্ত বাজেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে সময় বাধা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু সে সময় কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী সেখানে ছিলেন না। এই বিষয়ে শনিবার থানায় অভিযোগ আকারে জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ নিয়ে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ তানিয়ার। তিনি এ ব্যাপারে এবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।

মুচিপাড়া কাণ্ডে শনিবারই তৃতীয় এফআইআরটি দায়ের হয়েছে। বেপরোয়াভাবে ক্লাব ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কারোর নামে নয়, এফআইআর দায়ের হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেই। আইপিসি ৪২৭, ৩২৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ধারাগুলি সবকটিই জামিন যোগ্য। আজই, ধৃতদের তোলা হবে আদালতে। এদিকে, নিরাপত্তার খাতিরে মুচিপাড়া থানা থেকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে।

বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে। তাঁদের অভিযোগ, মুচিপাড়া থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিয়ালদা মেইন ব্রাঞ্চ এসএমবি নামক ক্লাবে ভাঙচুর করেন ৪৯ ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা। আর তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলাও হয়েছে। তার ভিত্তিতে মুচিপাড়া থানায় তৃতীয় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

শুক্রবার রাতে রীতিমতো হিন্দি সিরিয়ালের মতো বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুচিপাড়া থানার বিপরীতে থাকা বিজেপির একটি ক্লাবে এই সংঘর্ষ বাঁধে। বিজেপির দাবি, গতকাল রাতে বিনা প্ররোচনায় একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক ওই ক্লাবে ঢুকে নির্বিচারে মারধর করে। কোনও কারণ ছাড়াই হামলা চালানো হয়। জিনিসপত্রও ভাঙচুর করে।

এই পরিস্থিতির মাঝেই সজল ঘোষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুটি এফআইআর দায়ের করে তৃণমূল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সজল ঘোষকে শুক্রবার গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। তা নিয়ে অশান্তি আরও বাড়ে। আরও পড়ুন: ‘হিন্দি সিরিয়ালের দয়ার ভূমিকায় ননসেন্স পুলিশ’, মুচিপাড়ায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষের গ্রেফতারিতে কটাক্ষ দিলীপের