কলকাতা : শহর কলকাতায় ফের খুনের ঘটনা। আবারও ভবানীপুর। কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ী খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খুন আরও এক যুবক। নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই বাড়ির ভিতরে ছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী। তা সত্ত্বেও কেন স্বামীর খুনের কথা জানলেন না, তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ। উৎসব মণ্ডল নামে ২৯ বছর বয়সী ওই যুবককে কে বা কারা খুন করেছে, খুনের কারণই বা কি, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ভবানীপুরের বাসিন্দা উৎসব মণ্ডলকে। তাঁর দেহ সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে পুলিশ। ভবানীপুরের ৪৮ নম্বর চক্রবেড়িয়া রোডের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী ঘরের ভিতরেই ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে বিয়ে করে হয় উৎসবের। ওই বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি। ওই যুবকের বিশেষ কিছু উপার্জন ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। আর তার জেরেই নাকি সম্প্রতি তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয় স্ত্রীর সঙ্গে। এ দিকে, স্ত্রীর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। স্ত্রীকে ভবানীপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। তাঁর দেহে কালশিটের দাগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন সকালে উৎসব নামে ওই যুবকের বাবা ফোন করেছিলেন। ফোন ধরেন তাঁর স্ত্রী। তিনি জানান, উৎসব ঘুমোচ্ছেন, তাই ফোন দেওয়া যাবে না। তাঁর বাবা ঘুম থেকে তুলে ফোন দিতে বলেন। তাতেও রাজি হননি যুবকের স্ত্রী। ওই দিন সন্ধ্যাতেই দেহ উদ্ধার হয় ছেলের। স্ত্রী জেরায় জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন, তিনি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। একসময় ওই যুবক মাদকের নেশায় আসক্ত ছিলেন বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : PK-TMC Equation : ‘থ্যাঙ্ক ইউ’-র পরও কি ‘ওয়েলকাম’? একই মঞ্চে পিকে-মমতা সমীকরণে নয়া জল্পনা