কলকাতা: শেষ ভোটে হয়েছিল বিস্তর জোলঘোলা। যদিও দিনের শেষে ভেস্তে গিয়েছিল ‘জোট’। হয়নি আসন সমঝোতাও। এবার উপনির্বাচনে সিপিআইএমের প্রচারে নেই নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু, আইএসএফের প্রচারে আছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটে বামেদের সঙ্গ ত্যাগ করেছিল আইএসএফ। মাস কয়েকের মধ্যে উপভোটে আবারও বাম এবং আই এসএফ জোট হল। সেই জোটের ফর্মুলায় হাড়োয়া বিধানসভায় উপভোটে আইএসএফ প্রার্থী হয়েছেন পিয়ারুল ইসলাম। তাঁর হয়ে প্রচার করেছেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, দলের দুই তরুণ মুখ শতরূপ ঘোষ, কলতান দাশগুপ্ত।
সব কর্মসূচিতেই হাজির ছিলেন খোদ আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী। যদিও নওশাদ মঞ্চে ওঠার আগেই বক্তৃতা করে চলে আসেন শতরূপ এবং কলতান। তালডাংরায় সিপিআইএম প্রার্থী হয়েছেন দেবকান্তি মহান্তি।
সিপিআইএম সূত্রে খবর, সেখানে প্রচারের জন্য নওশাদ সিদ্দিকীকে বলা হলেও তিনি খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। বরং প্রচার এড়িয়ে গেলেন তিনি। বাঁকুড়ার ওই সব এলাকায় অল্প বিস্তর সংগঠন রয়েছে আইএসএফের। সেই কারণে নওশাদকে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভাঙরের বিধায়ক সিপিআইএমের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গেলেন না। ৬ টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট আর আইএসএফের আসন সমঝোতায় একমাত্র তালডাংরায় প্রার্থী দিয়েছে সিপিআইএম।