Samosa and Jalebi: শিঙাড়া, জিলিপি নিয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে? ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র

কলকাতা ও নয়াদিল্লি: অফিসে কারও কোনও পদোন্নতির খবর। কিংবা খুশির খবর। প্রথমেই আসে শিঙাড়া আর জিলিপি। মুচমুচে শিঙাড়ায় এক কামড় দিয়েই মুখে খুশির ঝলক। কিংবা গরম জিলিপি মুখে দিয়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। আর সেই শিঙাড়া, জিলিপিতে নির্দেশিকা জারি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সত্যিই কি কোনও নির্দেশিকা জারি হয়েছে? তৃণমূল যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তখন এই নিয়ে ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’ একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে বলা হয়, বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়া, জনবহুল জায়গায় প্রাত্যহিক খাবারে ‘শারীরিক ঝুঁকি’র বিষয়ে সতর্ক করতে হবে মানুষকে। খাবারের কত পরিমাণ ফ্যাট, সুগার থাকে, তাতে কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিয়ে সতর্ক করতে হবে।

আর এই নির্দেশিকা ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। শিঙাড়া, জিলিপি, লাড্ডুর উপর কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে বলে সরব হন অনেকে। বাংলায় এই নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্র শিঙাড়া, জিলিপির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বলছে, শিঙাড়া, জিলিপির উপর বিপজ্জনক লিখতে হবে। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, বাংলায় শিঙাড়া, জিলিপির উপর ফতোয়া মানা হবে না। কে কী খাবেন, সেটা তাঁর একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। শিঙাড়া, জিলিপি হল সাধারণ মানুষের খাবার। আমজনতার খাবার। খাবারের গুণগত মান ঠিক থাকলেই হবে।”

এই নিয়ে বিতর্ক বাধতেই ওই নির্দেশিকার ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এক বিবৃতিতে জানাল, শিঙাড়া, জিলিপি-সহ কোনও স্ট্রিট ফুডের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়নি। ভারতের স্ট্রিট ফুড সংস্কৃতিকে কোনওরকম টার্গেট করা হয়নি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট খাবারের কথাও বলা হয়নি। এদিকে, এই নিয়ে বিতর্ক বাধতেই ভুয়ো তথ্য ছড়ানো নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।  তিনি বলেন, শিঙাড়া, জিলিপির উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রীয় সরকার চাপায়নি।