কলকাতা: দুর্গা পুজোর সময়টা অর্থাৎ শরতকাল অনেকেরই বেশ পছন্দের। খুব গরম বা খুব ঠাণ্ডা থাকে না এই সময়। তবে কালীপুজোর রাতে থাকে শীতের আমেজ। শিরশিরানি অনুভব করাই যায়। বিশেষত রাতে বা ভোরের দিকে থাকে বেশ ঠাণ্ডার অনুভূতি। চলতি বছরে সেই আমেজের কোনও ছোঁয়াই নেই। শীতের তো পাত্তাই নেই! রাজধানী দিল্লি যখন উষ্ণতম অক্টোবরের সাক্ষী রইল, তখন কলকাতার তাপমাত্রাও নেহাত কম নয়। আজ শুক্রবার নভেম্বর মাসের প্রথম দিন। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নভেম্বরে এত বেশি তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
নভেম্বর মাস শুরু হওয়ার পরও ঠান্ডার লেশমাত্র নেই কলকাতায়। শুক্রবার কলকাতার যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, তা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি বেশি। এই সময় ২০ ডিগ্রির এর আশপাশে থাকার কথা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শুধু নভেম্বর নয়, অক্টোবরে ২৪ ডিগ্রির নীচে নামেইনি কলকাতার তাপমাত্রা। এটাও খুব একটা স্বাভাবিক নয়। রেকর্ড বলছে, ২০২২ সালে ১৯.৬ ডিগ্রিতে নেমেছিল অক্টোবরের তাপমাত্রা।
কেন এমন অবস্থা? আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি, তাই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকেই যাচ্ছে। যেহেতু বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে এখনও জলীয় বাষ্প ঢুকছে, তাই হালকা মেঘ থাকছে। আর তার জেরেই রাতে তাপমাত্রা নামতে পারছে না। অন্যদিকে, উত্তর-পশ্চিম হাওয়াও সেভাবে ঢুকছে না। দিল্লির তাপমাত্রাই বলে দিচ্ছে, উত্তর ভারতে এবার সেভাবে ঠাণ্ডা পড়েনি এখনও। তাই হাওয়ার অভাবে শীতের আমেজ অনুভব করা যাচ্ছে না।
অক্টোবর শেষে রেকর্ড বলছে, ৭৩ বছরে উষ্ণতম অক্টোবর দিল্লিতে। এবার অক্টোবরে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় ৩৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গড় ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুই তাপমাত্রার নিরিখেই ১৯৫১ সালের পর উষ্ণতম অক্টোবরের সাক্ষী থাকল রাজধানী।