কলকাতা: তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন বেশ কয়েকজন তারকা সাংসদ। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই আসতেই সেই জল্পনা প্রকট হয়েছিল। সিঁদুরে মেঘ দেখা গিয়েছিল নুসর জাহান, দেবদের নিয়ে। তবে দেব যে ফের ঘাটালের প্রার্থী হচ্ছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। টিকিট পেতে পারেন মিমিও। এদিনই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে তাঁদের নাম ঘোষণা হতে পারে বলে খবর। কিন্তু, কী হবে নুসরতের। সূত্রের খবর, এবারে আর তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে তাঁর দেখা নাও মিলতে পারেন। বর্তমানে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত। কিন্তু, সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষাপটে প্রায়শই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নুসরতের ভূমিকা। কেন তাঁর দেখা মেলেনি, কেন সন্দেশখালির পাশে দাঁড়াননি, কেন সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেননি, সেই প্রশ্ন যেমন তুলেছে বিরোধীরা। তেমনই তুলেছে সন্দেশখালির লোকজন।
সেই নুসরত এবার টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়ে তা নিয়ে কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল বসিরহাটের অন্দরে। এবার সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে জল্পনা ছড়াতেই ফের সামনে নুসরতের নাম। সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায় এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরত। অভিনেত্রীকে ভোটে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকত এই শাহজাহানের উপরেই।
এদিকে কয়েকদিন আগেই আবার পাটুলিতে ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে দলীয় সভায় এসে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। স্পষ্ট বলেছিলেন, “নুসরত জাহানের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর যাওয়া দরকার ছিল।” তবে সায়নীর আরও সংযোজন ছিল, “তিনি যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, তাই নিজের কেন্দ্রে যাবেন কিনা সেটা তাঁর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার।” এদিকে এই সায়নীও এবার আবার লোকসভা ভোটের টিকিট পেতে পারে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। দাঁড়াতে পারেন যাদবপুর কেন্দ্র থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত খাতায়-কলমে কাদের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।