AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

OBC Certificate: মুসলিমরা কেন OBC তালিকায়? ব্যাখ্যা প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের

OBC Certificate: উপেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, সংবিধানে জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। কিন্তু সিপিএম সেই কাজটাই করেছিল। তাহলে তৃণমূল আমলেও মুসলিমদের কেন ওই শ্রেণিভুক্ত রাখা হল? এই প্রশ্নের উত্তরে ব্যাখ্যা দেন তিনি।

OBC Certificate: মুসলিমরা কেন OBC তালিকায়? ব্যাখ্যা প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের
ওবিসি আইন নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টImage Credit: GFX- TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 23, 2024 | 7:35 PM
Share

কলকাতা: ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার এক বছর পরই পাশ হয়েছিল ওবিসি সংক্রান্ত বিল। রাজ্যপাল সম্মতি দেওয়ায় তৈরি হয়েছিল আইন। আর সেই সময় অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন উপেন বিশ্বাস। বুধবার হাইকোর্ট ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে যে রায় দিয়েছে, তারপর TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে উপেন বিশ্বাস ব্যাখ্যা করলেন কীভাবে ওই আইন পাশ হয়েছিল। কেন মুসলিমদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।

উপেন বিশ্বাস জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠনের পর ওবিসি নিয়ে আইন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি খুব তাড়াও দিচ্ছিলেন। সেই সময় মুখ্যসচিবকে বলে একটু সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। নিয়ম মেনেই সেই কাজ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। উপেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রথমে আইন বিভাগে, তারপর সংবিধান বিভাগ, তারপর মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সম্মতি মেলার পর কাগজ ফিরে আসে দফতরে। এরপর বিধানসভায় বিল পেশ হয়, বিল পাশও হয়ে যায়। তারপর আইন তৈরি হয়।

উপেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, সংবিধানে জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়নি। কিন্তু সিপিএম সেই কাজটাই করেছিল। তাহলে তৃণমূল আমলেও মুসলিমদের কেন ওই শ্রেণিভুক্ত রাখা হল? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন মন্ত্রী জানান, ইসলামের মধ্যেও অনগ্রসর শ্রেণি আছে, এটা সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, মুসলিমরা কোনও কাস্টে বিশ্বাস করে না, কিন্তু বিয়ের সময় আবার সেই কাস্ট মানা হয়ে থাকে। তাদের মধ্যেও অনগ্রসর শ্রেণি আছে।

উপেন বিশ্বাস আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এসসি, এসটি-র পর অনগ্রসর হল মুসলিমরা। এসসি-এসটি বাদ দিলে সবথেকে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস হিসেবে থাকে মুসলিম। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান, ২৭ শতাংশ মুসলিম, ২৩ শতাংশ তফশিলি জাতি আর ৫ শতাংশের কিছু বেশি তফশিলি উপজাতি রয়েছে। সেই কারণেই বাম আমলের সিদ্ধান্ত মেনে নেন তিনি। এছাড়াও উপেন বিশ্বাসের যুক্তি হল, বুদ্ধবাবু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগকে নিয়ে একটা কমিটি গঠন করেছিলেন। কয়েকজন অফিসারকে কর্নাটকে পাঠিয়েছিলেন। তারপরই তালিকা তৈরি করেছিলেন।